পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নদীয়া-কাহিনী । y তিনি এ বিষয়ে উপদেশ দিলেও মহাঙ্ক দেবানন্দ প্রভুকে চিনিতে না পরিয়া ওঁ হার কথা অবহেলা করিয়াছিলেন। এক্ষণে ভক্ত শিরোমণি বক্ৰেশ্বরের কুপায় দেবানন্দ নিজের ভ্ৰম বুঝিতে পারিয়া প্রভুর চরণে শরণা লইলেন। দয়াময় প্রভুও প্তােহাৱা সৰ্ব্ব অপরাধ ক্ষমা করিয়া ঠাঁহাকে আপনার সুশীতল বক্ষে গ্ৰহণ করিলেন । দেবানন্দ তখন শুদ্ধমতি হইয়াছেন, সুতরাং আপনার মুখাপেক্ষা পরের মুখের প্রতি তখন তঁহার দৃষ্টি সমধিক তাই, প্রভুর এই কথায় সাহস পাইয়া ব্যর প্রার্থনা করিলেন যে, “যে কেহ এই ক্ষেত্রে আসিয়া অপরাধ স্বীকারপূর্দিক ক্ষমা প্রার্থনা করিবে প্ৰভু যেন অবিচারে তাহার অপরাধ ভঞ্জন করেন।” প্রভুও ভক্তিমান দেবানন্দের প্রার্থনায় তাহার অভিলষিত বর প্রদান করিলেন । তদবধি কুলিয়া “অপরােধ ভঞ্জনের পট” বলিয়া খ্যাত হয়। কিন্তু কলির জীবের এমনি দুৰ্ভাগ্য যে এই শ্ৰীপাটের নিদর্শন নবদ্বীপের সন্নিকটে কোথাও পাওয়া যায় না ; বুধি গঙ্গাদেবী এই লোিভময় পবিত্র তীর্থের মায়া ছাড়িতে না পারিয়া আপনার পবিত্ৰ বক্ষে ইহাকে রক্ষা করিতেছেন। এই কুলিয়া গ্রামেই শ্ৰীপ্ৰভু আত্মজনের নিকট শেষ বিদায় গ্ৰহণ করেন। এইখানেই শ্ৰীমতি বিষ্ণুপ্রিয়াদেবী তাহার সহিত মিলিত হয়েন এবং ত্রিলোক পূজ্য স্বামীর স্নেহের শেষ নিদর্শন স্বরূপ তাহার শ্ৰীপদের কণ্ঠ পাদুকা যোড়াটা প্ৰাপ্ত হয়েনি। দেবী বিষ্ণুপ্রিয়া শ্ৰীপ্রভুর আদেশ ক্রমে তাহার শ্ৰীবিগ্ৰহ মূৰ্ত্তি স্থাপনা করেন। বিষ্ণুপ্রিয়া স্থাপিত এই মূৰ্ত্তি অদ্যাপি বিদ্যমান আছেন । কুলিয়া হইতে মহাপ্ৰভু গঙ্গার তীরে তীরে রামকেলীগ্রামে উপস্থিত হইলেন। এই রামকেলী গ্রাম তদানীন্তন বঙ্গের রাজধানী গৌড়ের এক অংশ বিশেষ। পাঠান বংশীয় সৈয়দ হুসেন সাহা তখন এখানে স্বাধীন ভাবে রাজত্ব করিতেছিলেন। এই হুসেন সাহার রাজকীয় সভায় রূপ ও সনাতন নামে দুই ভ্ৰাত: “দারির খাস ও সাকীর মল্লিক” পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই দুই ভ্ৰাতার রাজ সংসারে যথেষ্ট প্রতিপত্তি ছিল। ইহঁরা সতত মুসলমান সহবাসে যাবনিক ভােব প্রাপ্ত হইলেও পুলি সংস্কারবশতঃ বিলক্ষণ ভক্তিমান ছিলেন। প্ৰভু ইহঁাদিগকে উদ্ধার করিয়া cऔङ् श्श्cउ শাস্তিপুরে অদ্বৈতভবনে গমন করিলেন । তথায় কিয়দিবস অতিবহিত করিয়া পরিশেষে নীলাচলে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। এখানে বর্ষার চারিমাস iBBiuD BuBt D BEDB D DBBDD DD DSYDBB BB DDDB