পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS br নদীয়া-কাহিনী । ‘জালিয়া কহে ইহা এক মনুষ্য না দেখিল । জাল বাহিতে এক মৃত মোর জালে আইল । दऊ भ९ख दनि उधाभि ठाझेल सडन । মৃতকে দেখিতে মোর ভয় হইল মনে । জাল খসাইতে তার অঙ্গস্পর্শ হইল । স্পর্ষ মাত্র সেই ভুত হৃদয়ে পশিল । ভয়ে কম্প হৈল মোর নোৱে বহে জল । গদ গদ বাণী মোর উঠিল সকল । কিবা ব্ৰহ্মদৈত্য কিবা ভুত কহনে না যায়। দর্শন মাত্রে মনুষ্যের পশে সেই কায় ।” ভাগ্যবান জালিয়া যখন এইরূপে প্রভুর স্বরূপ বর্ণনা করিলেন, তখন ভক্তগণ আনন্দে হরিদ্ধবনি করিয়া উঠিলেন এবং সকলে দ্রুত সমুদ্রতটে যাইয়া দেখিলেন সেই কমলাসেবিত “পুরট-সুন্দর-দ্যুতি কদম্ব সন্দীপীত” শ্ৰীঅঙ্গ “ভূমিতে পড়িয়া আছে দীর্ঘ শব কায়। জলে শ্বেত তনু বালু লাগিয়াছে গায় ৷ অতি দীর্ঘ শিথিল তনু চৰ্ম্ম লটকায়। দূর পথ উঠাইয়া আননে না যায়।” তখন সকলে মিলিয়া প্রভুর সেবায় রত হইলেন। কেহ আদ্র কীেপীন দূর করিয়া শুষ্ক বস্ত্ৰ দিলেন, কেহ শ্ৰীঅঙ্গের বালুকাকণা ছাড়াইতে লাগিলেন ; কেহ কেহ বহিৰ্ব্বাস পাতিয়া শয্যা প্ৰস্তুত করিয়া প্রভুকে সেই শয্যায় শান্বিত করিলেন। এবং সকলে মিলিয়া তখন উচ্চ হরি সংকীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন “কতক্ষণে প্ৰভুকাণে শব্দ পরশিল । হুঙ্কার করিয়া প্ৰভু তবহি উঠিল।” উপর্যুপরি প্রভুর এইরূপ প্ৰেমবিকার ও মহাভাৰ সমাধি অবলোকৰ করিয়া ভক্তগণ চিন্তিত হইলেন। সকলের মনে কেমন একটা আশঙ্কা জন্মিল যে, "* বুৰঞ্জােহাৱা উহাদের প্রেমাণুখলে এডুকে আবদ্ধ পাখিতে পারেন " এই মৰ্ম্মগ্রহী ছিন্নকারী নিদারূণ কথা মনে হইলেও কেহ মুখে আনিতে পারি?