পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

èR R नौशl-२ांईि औी । পারত ভাষার চর্চা আদৌ না থাকায় ইহাদের মধ্যে সম্প্রদায়িক ধৰ্ম্মপুস্তক সম্বন্ধে কোনও জ্ঞানই দৃষ্ট হয় না। মুসলমান মোন্নগণের অচিরাৎ এ বিষয়ে ye আকৃষ্ট হওয়া উচিৎ, অন্যথা আর কিছু দিনে এই সকল নিরক্ষর মুসলমানের। অবস্থা আতি শোচনীয় হইয়া দাড়াইবে ; কারণ, দেখা যায় যখন যে জাতির ধৰ্ম্ম নষ্ট হইয়াছে তখনই সে জাতির অভ্যন্তরীণ অধঃপতন সংঘটিত হইয়াছে। এই জেলায় সিয়া অপেক্ষা সুধীর সংখ্যা অধিক। এই সমগ্র মুসলমান সমষ্টি প্রধানতঃ সিয়া ও সুমি দুইভাগে বিভক্ত হইলেও, ইহাদের প্রত্যেকের আবার কতকগুলি করিয়া শাখা বিভাগ দৃষ্ট হয় যখ-সাবেক সুন্নী, ফরাজী, টায়ানী, হাসাফিজ, সাফাগ্নিজ, মালিকি ইত্যাদি। এই শাখা সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে ফরাজী সম্প্রদায়ীর সংখ্যা অত্যধিক । সিয়াগণ মহম্মদের কন্যা ফাতিমার স্বামী আলির অনুচর, তাহারা আলিকেই যথার্থ খলিফা অর্থাৎ মহম্মদের প্রকৃত উত্তরাধিকারী স্বীকার করেন, যাহা সুন্নীরা করেন না; তাহদের মতে আবুবকর যথার্থ খলিফা। এই মতদ্বৈধতা হেতু উভয় সম্প্রদায় পরস্পরকে বিৰোিষও করিয়া থাকেন এবং সুন্নীগণ সিয়াদিগকে “রাফেজী” অর্থাৎ সত্যভ্ৰষ্ট বলিয়া আখ্যাত করেন। মহরমের সময়ে এই দুই সম্প্রদায়ের মতদ্বৈধতার বিশিষ্ট প্ৰমাণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। সিয়াগণ যখন তঁহাদের পুজনীয় আলির দ্বিতীয় পুত্র হুসেনের গৌরবকর মৃত্যু দিনের স্মৃতি রক্ষা করিতে প্ৰতিবৎসর মহরম মাসের প্রথম দশদিন তাজিয়া নিৰ্ম্মাণ পুৰ্ব্বক উৎসবে মত্ত হইয়া উঠেন, তখন দুৰ্নীগণ আলিকে খলিফা স্বীকার না করায় তঁহার পুত্রের মৃত্যু দিনেরও গৌরব রক্ষা করেন না, তবে ঐ মহরম মাসের দশমদিনকে তঁহারা কোরানোক্ত মতে পৃথিবী স্থষ্টির দিন বলিয়া ঐ দিনকে পবিত্র জ্ঞানে মান্য করিয়ী থাকেন। জ্ঞানবান সুন্নীগণ পূৰ্ব্বোক্ত মতানুসারে চলিলেও নিরক্ষার স্বামীগণ প্রায়শঃ সিয়াগণের সহিত একযোগে এই শোকের উৎসব সম্পন্ন করিয়া থা*ে} বিগত কয়েক বৎসর হইতে রাণাঘাট সাবডিভিসান, সদর, ও নদীয়া জেলার অঙ্গ।” বহু স্থানে সুশিক্ষিত সুগ্ৰী মোল্লাগণ আসিয়া তাহদের নিরক্ষর ভ্রাতাগণকে “ বিষয়ে উপদেশ প্ৰদান করিলে, তাহারা এই উপলক্ষে তাজিয়া নিৰ্ম্মণাদি উৎসর্ণ যাবতীয় কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়াছে। এতদঞ্চলের সিয়াগণ এই মহরম ব্য" | হুসেন ও হাসেন উভয় ভ্রাতার নির্মিতই শোক প্ৰকাশ করিয়া থাকে; /**