পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নদীয়া হইতে যে সমস্ত ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ের উৎপত্তি, তন্মধ্যে কৰ্ত্তাভজার ঘল বৈষ্ণৰ । সম্প্রদায়ের পরই উল্লেখযোগ্য; কারণ, যত সংখ্যক নরনারী এই দলভুক্ত । ততলোক এক বৈষ্ণব সম্প্রদায় ভিন্ন অন্য সম্প্রদায়ে यूडे হয় 可日 তবে এ দলে পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীলোকেরই সংখ্যাধিক্য। পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীলোকের সংখ্যা । তিন গুণ অধিক এবং সেই কারণই বোধ হয়। ইহাদের মধ্যে ব্যভিচারের স্রোত । এত প্ৰবল। একদিন যে ধৰ্ম্মের মূলমন্ত্র ছিল “মেয়ে হিজরে পুরুষ খোজা, তবে হয় কৰ্ত্তাভজা৷” এখন সেই উচ্চ আদর্শ কিরূপ দুৰ্দশা প্ৰাপ্ত হইয়াছে। যদিও পরস্ত্রীগমন বা তং চিন্তা পৰ্য্যন্ত উক্ত ধৰ্ম্ম প্ৰবৰ্ত্তকের সম্পূর্ণ বিধি বিরুদ্ধ তত্ৰাপি বহু সংখ্যক নরনারী সর্বদা একত্র সহবাস করায় এক্ষণে নরসেবা ও নারী সেবাই এ ধৰ্ম্মের সর্বনাশের মূল হইয়৷ ধাড়াইয়াছে। যদিও বৰ্ত্তমানকালে এই সম্প্রদায়ী ব্যক্তিগণের মধ্যে এরূপ অধঃপতন দৃষ্টি হইতেছে বটে। কিন্তু এই মত প্ৰবৰ্ত্তনকালে ইহার প্ৰেবৰ্ত্তক আউলটাদের আদেশ অতি জ্ঞানথার্ড ও সহপদেশ পূর্ণ। তঁহার আদেশ এই পরস্ত্রীগমন, পর্যন্ত্রব্যাপহরণ, এবং প্রাণী হত্যা সাধন এই ত্ৰিবিধ কাৰ্ষিক কৰ্ম্ম ও ঐ ত্ৰিবিধ কাৰ্ষিক কৰ্ম্মসাধনের ইচ্ছা, মিথ্যা কখন, কটু ভাষণ, বৃথাভাষ ও প্ৰলাপভাষ এই চারিপ্রকার বাককৰ্ম্ম, সৰ্ব্ব সমেত এই দশৰিষ কৰ্ম্ম সৰ্বথা । পরিত্যাজ্য। এই সম্প্রদায়ের বীজমজের মূল সুত্র “গুরুসত্য”। কেহ উক্ত সম্প্রদায়ভুক্ত হইতে চাহিলে প্রথমতঃ সে ঐ মূলমন্ত্র প্রাপ্ত হয়। পরে ইহার প্রৰি তাহার বিশ্বাস স্থিরতর হইলে তখন সে ‘কৰ্ত্তা আউলে মহাপ্ৰভু, আমি তোমার মুখে চলি ফিরি, যা বলাও তাই বলি, বা খাওয়াও তাই খাই, তোমা ছাড়া জিলাৰ্ক, নই, গুরুসত্য বিপদ মিথ্য” * ইত্যাকার মন্ত্র প্রাপ্ত হয়। এই সম্পূর্ণ ময়ের নাম ষোলআনা। ধাহারা ময় দেন। তঁহাদের আখ্যা “মহাশয়,” এবং শিষ্যের আখ্যা । rãn r TROS

  • এই সন্ত্রের পাঠান্তরও দৃষ্ট হয়। যথা-কর্তা আউলে মহাপ্ৰভু, আমি তোমাৱ তুমি জামায়।

LA EL LgLLSMSMSuSMSuSSuSuSS S QR