পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNR नौश-काछिनी। ইহার সহিত জাহাঙ্গীরার তাৎকালীক সুবেদারের প্রথমে उाछू* झढात्र छिल न, পরে উভয়ের মধ্যে সখ্যতা স্থাপিত হইলে রাজা রূদ্র রায় জাহাঙ্গীরা হইতে এক সুনিপুণ পূৰ্ত্তিকাৰ্য্যক্ষম স্থপতিকে আনয়ন করিয়া কৃষ্ণনগরে তাহার সহায়তায় নিজ কাছারি, কেল্লা, ও পুজার বাটী, নাচঘর, চক প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ করেন। ইহার ণিৰ্ম্মিত নাচঘর এবং পিলখানা, চক ও নহবতখানা অদ্যাপি বর্তমান বুঠিয়াছে। বৰ্ত্তমান মহারাজা সম্প্রতি ইহার সংস্কার কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়াছেন। কৃষ্ণনগর হইতে শান্তিপুরের সুপ্ৰশস্ত রাজ বক্সটিও রাজা রূদ্রের কীৰ্ত্তি ঘোষণা করিতেছে। কথিত আছে তাহার প্রাসাদ পদচারিণী অঞ্জনা নদী তখন স্রোতস্বিতী ছিল। এই নদীবিহারি কোন সম্রান্ত মুসলমানের উপর বিরক্ত হইয়া তিনি ইহার স্রোতঃবেগ রুদ্ধ করিয়াছিলেন । রাজা রূদ্রের দুই রাণী-জেষ্ঠার গর্ভে রামচন্দ্র ও রামজীবন ও কনিষ্ঠার গর্ভে রামকৃষ্ণ জন্ম গ্ৰহণ করেন । রূদ্র তাহার কনিষ্ঠপুত্রকে সৰ্ব্বাপেক্ষ উপযুক্ত বিবেচনায় তঁহাকেই উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন। কিন্তু তঁাস্থার মৃত্যুর পর জেষ্ঠ রামচন্দ্ৰ হুগলীর ফৌজদার ও ঢাকার নবাবের সহায়তায় পৈতৃক জমিদারী অধিকার করেন। কিন্ত অল্প দিনের মধ্যেই তােহর মধ্যম ভ্ৰাতা রামজীবন শক্তি সঞ্চয় করিয়া তাঁহাকে অধিকার চু্যত করেন। কিন্তু তিনি শীঘ্রই আবার জেষ্ঠ কর্তৃক বিতড়িত হইয়াছিলেন। এই সময়ে রামচন্দ্রের মৃত্যু হইলে মধ্যম রাম জীবন আবার রাজ্য অধিকার করিয়া লন । কিন্তু অনতিবিলম্বে তা হার বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা রামকৃষ্ণের কৌশলে তিনি ঢাকার নবাব কর্তৃক কারারূদ্ধ হন। রাজা রূদ্র যেমন কিন্তীমান ছিলেন তেমনি এতদঞ্চলে বিদ্যার উন্নতিসাধন মানসে অধ্যাপক মণ্ডলীকে বহু নিষ্কর ভূমি দান করিয়া যান এবং নবদ্বীপের বিদেশী ছাত্ৰগণের ব্যয়ের নিমিত্ত বৰ টাকার ভুসম্পত্তি নির্দিষ্ট করিয়া দেন । রাজা রামকৃষ্ণের সহিত তাৎকালীক নবাব মুরসিদকুলী খাঁর সাতিশয় অসম্ভাব দাড়াইয়াছিল। তাই তিনি কৌশলে রামকৃষ্ণকে ঢাকার, বৈকুণ্ঠে বন্দী করেন। কারাগারের দারুণ ক্লেশে তাহার স্বাস্থ্য ভগ্ন হইয়া অপুত্ৰক ***** মৃত্যু হইলে তাহার বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা রামজীবন কারামুক্ত इद्देशां नौशा ब्राथ) পুনরাধিকার করেন। তিনি কবি ছিলেন ; তঁহার শেষ জীৰন নাটক রচনায় ও নাট্য ক্রীড়ায় অতিবাহিত হয়।