পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौश!-काछिभी । RSN) DSJYS DDD DDD STKBBDB DBBT DBDBBDB gD DBDS DBDD BBD রঘুৱাম ও তৃতীয়ার গর্ভে রামগোপাল জন্মগ্রহণ করেন। রঘুরাম সর্বাপেক্ষা কাৰ্য্যদক্ষ ও প্ৰজারঞ্জক ছিলেন এ কারণে রামজীবন মৃত্যুকালে তঁহাকেই উত্তরাধিকারী করিয়া যান। রঘুরাম হৃদয়বান ও যুদ্ধ কুশলী ছিলেন। তিনি বীর কাটির যুদ্ধে সুবেদার জাফর খ্যার সেনাপতি লহুরীমলকে বিশেষ সাহায্য করেন। রঘুরামের যৌবনের প্রারস্তে ১৬৩২ শকে (১৭১৭ খৃষ্টাব্দে ) এক মহা তেজস্বী রূপবান কুমার জন্ম গ্রহণ করেন। এই কুমারই নদীয়া রাজবংশের সুবিখ্যাত মহারাজা বাজপেয়ী কৃষ্ণচন্দ্ৰ । এই সময়ে রঘুরাম যথা নিয়মে রাজকর দিতে না পারায় সুবেদার জাফর খাঁ। কর্তৃক তাহার নূতন রাজধানী মুরাসিন্দাবাদে বন্দীকৃত হয়েনি। তিনি বন্দী অবস্থাতেও শত শত দরিদ্রকে ধন দান করিতেন এবং পরিশেষে মুক্ত হইয়া ১৭২৮ খৃষ্টাব্দে ভাগীরথী নীরে তনুত্যাগ করেন। রাজারঘুরামের মৃত্যুর পর তঁহার উপযুক্ত পুত্র কৃষ্ণচন্দ্ৰ অষ্টাদশ বর্ষ বয়ক্রম কালে পিতৃ গদীতে আরোহণ করেন। কথিত আছে। রঘুরাম তাঁহাকে আপন উত্তরাধিকারী না করিয়া নিজ বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা রামগোপালকে তঁাহার স্থলাভিষিক্ত মনোনীত করিয়া যান। কিন্তু পিতার পরলোক হইলে কৌশলী কৃষ্ণচন্দ্ৰ তাম্রকুট অনুরাগী দীর্ঘ সুত্ৰী পিতৃব্যকে কৌশলে পথিমধ্যে তাম্রকুট সেবনে নিরত রাখিয়া স্বয়ং যাইয়া তৎপুর্ষে নবাব দরবারে উপস্থিত হয়েন এবং আপনার নামে জমিদারীর ফারামান লইয়া বাহিরে আসিলে রামগোপালের চৈতন্যোদয় হয় তখন ব্যস্ত হইয়া নবাব সমীপে উপস্থিত হইলে নবাব তাঁহাকে অসার ও অপদাৰ্থ জ্ঞানে বিদায় দেন। কৃষ্ণচন্দ্ৰ অসাধারণ মেধাবী ছিলেন। তিনি অল্প দিনের মধ্যেই সংস্কৃত ও পারস্য প্রভৃতি ভাষায় সবিশেষ বুৎপন্ন হন। এতদ্ব্যতীত তিনি তঁহার পদের উপযুক্ত नुन বিদ্যা ও নীতিশিক্ষা লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। তিনি কালীদাস সিদ্ধান্ত নামক এক পণ্ডিতের নিকট সংস্কৃত শাস্ত্র, কালোয়াৎ বিশ্রাম ধরি নিকট সঙ্গীত শাস্ত্র এবং মুজাফার হিসেনের নিকট অসুবিদ্যা শিক্ষা করিয়াছিলেন। এই মুজাফার হুসেন নবাব মুরসিদকুলী খাঁর ভাগিনেয়। কোন কারণে ক্ৰোধ করিয়া তিনি মুৱসিন্দাবাদ ত্যাগ করিয়া রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় আগমন