পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS V) নদীয়া-কাহিনী । ব্যবস্থা সংগ্রহের নিমিত্ত কৃষ্ণচন্দ্ৰকে অনুরোধ করেন ও কতিপয় পণ্ডিতকে রাজসভায় প্রেরণ করান। সুকৌশলী রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বহু বিষয়ে রাজবল্লাভের মুখাপেক্ষী ছিলেন সুতরাং স্বয়ং প্রকাশ্যে পণ্ডিতগণকে মত দিতে অনুরোধ ও এমন কি শাসন বাক্য প্রয়োগ করিলেও গোপনে তাহদের অমত প্ৰকাশে দািঢ%। দেখাইতে উপদেশ দিয়া রাজবল্লভকে হতাশ করিয়াছিলেন এ সম্বন্ধে এতদঞ্চলে একটী কৌতুকাবহ প্ৰবাদ আছে। কথিত আছে যে রাজবল্লাভের প্রেরিত পণ্ডিতগণের নিকট রাজবাটী হইতে যে সিধা প্রেরিত হয় উচ্চার সহিত একটা মহিষ শাবক প্রেরণ করা হয়। পণ্ডিতগণ উক্ত মহিষশাবক দর্শনে কুপিত হইয়া ইহার কারণ জানিতে চাহিলে রাজকৰ্ম্মচারীরা নিবেদন করেন যে যখন কোন কোন শাস্ত্ৰে মহিষমাংস ভক্ষণের আদেশ প্রদত্ত হইয়াছে তখন উহা গ্রহণে কি আপাত্তা থাকিতে পারে ? রাজবল্লাভের পণ্ডিতগণ উত্তর করেন, ‘হঁ। যদিও কোন কোন শাস্থের এরূপ ব্যবস্থা আছে বটে কিন্ত। এদেশে মহিষী মাৎস ভোজনের ব্যবহার নাই সুতরাং ইহা অভক্ষ্য ।” সুশিক্ষিত রাজকৰ্ম্মচারীগণ তখন সাহলাদে বলিলেন, “যখন শাসুসম্মত স্বীকার করিয়াও ব্যবহার বিরুদ্ধ বলিয়া আপনারা ইহা DDB0 DBBD DBDDSSYD DBDD tu KKmuDB BLBD DBDBJSBBB BBD আপনার কিরূপে মত প্ৰকাশ করিলেন ।” কথিত আছে রাজবল্লাভের পণ্ডিতগণ এই বাক্যে নিরুত্তর হইয়া ও পরে রাজ সভাপস্থ পণ্ডিতগণের নিকট বিচারে পরাস্ত হইয়া নিজেদের মত পরিবত্তন করিয়াছিলেন । মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র জীবনের অধিকাংশ সময় কৃষ্ণনগরে অতিবাহিত করিলেও তিনি শিবনিবাস, কৃষ্ণপুর, কৃষ্ণগঞ্জ, চুর্ণিতীরবত্তী হরধাম, ও আনন্দধাম, নবদ্বীপের নিকটে গঙ্গাবাস ও যাত্রাপুর প্রভৃতি বহুতর স্থান স্থাপনা পুৰ্ব্বক প্রাসাদদি নিৰ্ম্মাণ করিয়া অনেক সময়ে সপরিবারে বাস করিতেন। কেহ কেহ বলেন মুরাসিন্দাবাদের নবাবের উৎপীড়ন হইতে আত্মরক্ষা করিতে তিনি এইরূপে নানা স্থানে বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ কািরয়াছিলেন । যাহা হউক। তিনি স্বীয় পিতা ও পিতামহের গও আপনার বাকী পড়া রাজস্ব ও নজরানার দায়ে নবাব আলিবন্দী কর্তৃক একবার মুরসিঁদাবাদে বন্দী হইয়াছিলেন । r শিবনিবাসের উৎপত্তি সম্বন্ধে এইরূপ প্ৰবাদ আছে যে মহারাজা কৃষ্ণগঞ্জ