পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौश-काछिनौ । MC) o 6 সালের ১৬ই অগ্রহায়ণ তারিখে শারীরিক নিয়ম উল্পভবন বশত: ৫৫ বৎসর বয়সে রাজা গিরীশচন্দ্ৰ মানবলীলা সংবরণ করেন । ইহঁর মৃত্যুর পর তঁহার দত্তকপুত্র শ্ৰীশচন্দ্ৰ। ১৮৪২ খৃঃ দ্বাবিংশতি বর্ষ বয়ঃক্রমে তাহার ত্যক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন। তিনি প্রথম হইতেই বিষয় বৃদ্ধি করিবার জন্য যথেষ্ট শ্রম ও যত্ব করিয়াYSDDBS ggSDDBS BDBBS SDDD SBBD DBDB BDKBE DDBDB Bt কাৰ্ত্তিকেয় চন্দ্র রায়ের সুপরামর্শে অনেক বিষয়ে সুশৃঙ্খলা স্থাপন করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । এই রাজা পাশ্চাত্য মতেই শিক্ষা প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন, এ কারণে নদীয়ার পণ্ডিতগণের মতের সহিত তাহার অনেক বিষয়ে মতানৈক্য ঘটিত । ইনি নিজ ব্যয়ে কৃষ্ণনগরে ইংরাজী বিদ্যালয় ও কলেজ স্থাপনের নিমিত্ত অনেক পরিমাণ ভূমি দান করিয়াছিলেন। সঙ্গীতে র্তাহার সাতিশয় অনুরাগ দৃষ্ট হইত। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা রাখিয়া ৩৮ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন। রাজা শিবচন্দ্রের পর রাজা শ্ৰীশচন্দ্ৰই ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্টের নিকট মহারাজা উপাধীতে ভূষিত হন। ইহঁর পুত্রের নাম সতীশচন্দ্ৰ । ইনিও পিতার ন্যায় পাশ্চাত্য বিদ্যা পারদর্শী ছিলেন। বিষয়াধিকারী হইবার অব্যাবহিত পরেই ইনি গবৰ্ণমেণ্ট হইতে পৈত্রিক উপাধী ও খেলায়েৎ প্রাপ্ত হন। ইনি ইহার পিতামহ গিরীশচন্দ্রের ন্যায় আয়ের প্রতি দৃষ্টি না রাখিয়া কেবল ব্যয় করিতে ভাল বাসিতেন এবং অতিশয় ভ্রমণ প্রিয় ছিলেন। ইনি ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে মসৌরি পাহাড়ে ৩৩ বৎসর বয়সে অপুত্ৰক অবস্থায় প্ৰাণ ত্যাগ করেন । মহারাজা লোকান্তর গমন করিলে তঁহার কনিষ্ঠ রাণী ভুবনেশ্বরী তাহার সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হইয়া। ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে ৫ জানুয়ারি উহা কোর্ট অবওয়ার্ডে অর্পণ করেন এবং ১৮৭১ খৃঃ ২৪ নবেম্বর। বৰ্ত্তমান মহারাজা ক্ষিতীশ চিত্ৰকে দীৰ্ত্তকপুত্র গ্ৰহণ করেন। এই কুমার ১২৭৫ সনের ৩০ বৈশাখ জন্ম এহণ করেন। ইনি রূপে গুণে প্রকৃতই নদীয়া সিংহাসনের সম্পূৰ্ণ উপৰোধী। এখন সৰ্ব্বদর্শী, সৰ্ব্ব শাস্ত্র পারদর্শী, এবং সৰ্ব্বগুণালঙ্কাত দুপুরুষ সাধারণতঃ দৃষ্টিপথে পতিত হয় না। ইহার যত্বে নদীয়ার রাজশ্ৰী সৰ্ব্ব বিষয়েই সমুজ্জ্বল। 8