পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौध्र-कहिनी । N90) যে, আনন্দধামের বট রাজকুমার ঈশানচত্রের নিৰ্ম্মিত। মহারাজ কৃষ্ণচত্রের মৃত্যুর পর ছোটরাণী ও তদীয় পুত্ৰ কুমার শম্ভুচন্দ্র হরধামের বাটীতে আসিয়া বাস কৰিলে, ঈশানচন্দ্রও আসিয়া হরধামের পশ্চিমদিকবন্তী চুণীর অপর পােরন্থ নিবিড় জঙ্গল কাটিয়া তথায় অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস করেন এবং নিজ ক্ষমতায় সামান্য সম্পত্তি করিয়া পরিবারবর্গের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করেন। এ কথা সত্য হউক বা মিথ্যা হউক, মহারাজের মৃত্যুর পর অপরাপর পুত্রদিগের মধ্যে শিৰ নিবাসে মহেশচন্দ্ৰ বাস করিলেন এবং পুত্রহীনতা নিবন্ধন ভৈরবচন্দ্ৰ কৃষ্ণনগরে শিবচন্দ্রের নিকট রহিলেন । শিবচন্দ্ৰই সৰ্ব্বজ্যেষ্ঠ, সুতরাং তিনিই পিতৃসম্পত্তির অধিকারী হইলেন। অন্যান্য পুত্রদিগের মাসোহরা বন্দোবস্ত হইল। এখনও পৰ্য্যন্ত আনন্দধামের রাজবংশীয়েরা কৃষ্ণনগর হইতে মাসোহরা পাইয়া থাকেন। ইহাদিগের মধ্যে শস্তৃচন্দ্ৰ নিজক্ষমতায় বহুসংখ্যক নগদ টাকা ও অনেক টাকার ভুসম্পত্তি করিয়াছিলেন। কুমারশস্তৃচন্দ্ৰ সাধারণতঃ ‘মধ্যম কুমার" বা ‘মধ্যম ঠাকুর” নামেই পরিচিত । হরধামের বাটী মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ৰ নিৰ্ম্মাণ করান এবং তঁাহার মৃত্যুর পর শস্তৃচন্দ্ৰ আসিয়া এখানে বাস করেন। এই বাটী অতিশয় বৃহৎ ও পরমসুদৃশ্য ছিল। এখনও তাহাব কতকাংশ এবং দেবালয়, মন্দির, পুজার বাটী, ঘড়িখানা প্ৰভৃতির কতক কতক অংশ বৰ্ত্তমান, কিন্তু তাহাও সংস্কারাভাবে দিন দিন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হইতেছে। রাজপ্ৰসাদের ধ্বংসাবশেষের উপর লতাগুল্ম দেহবিস্তার করিতেছে। চতুস্তল পরিমিত প্ৰকাণ্ড প্রাসাদ, যাহা এক সময়ে রাজ পরিবারের আনন্দ কোলাহলে সৰ্ব্বদা মুখরিত থাকিত, তাহার স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ জীৰ্ণ, পতনোদ্যত কয়েকটা গৃহ সৌভাগ্যের নীরব সাক্ষী । স্বরূপ ধ্বংসাবশেষের ইষ্টকস্তপের মধ্যে দৃঢ় ভিত্তিতে দাড়াইয়া আছে। হরধাম রাজবংশের সুখস্থৰ্য্য অন্তগমনের সঙ্গে সঙ্গে সমস্তই অস্তমিত হইয়াছে। প্রবাদ মহারাজ কৃষ্ণচত্রের মৃত্যুর পর যখন শম্ভুচন্দ্ৰ হরধামে আসিয়া বাস করেন, সে সময়ে হরধামে লোকসংখ্যা অতি অল্প ছিল। একারণ শম্ভুচন্দ্ৰ ইরধামের শ্ৰীবৃদ্ধি সাধনে চেষ্টিত হন। তিনি নানা স্থান হইতে রাজ-কুটুম্বদিগকে আনাইয়া হরধামে বাস করান এবং রাজসংসারের আবশ্যকীয় কৰ্ম্মচারিবর্গেরও “পোচ্ছিাদলের মুষ্যবস্থা করিয়া দেন। এই সময়ে রাজজ্যোতিৰী হুইধর আচাৰ্য্য