পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f নদীয়া-কাহিনী । NUO NON যাত্ৰাদল গঠন করিয়াছিলেন তাহার জন্য “মালতী মাধব” নামে সুন্দর পালা রচনা করিয়াছিলেন।) প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য। একদিকে পালচৌধুরী বংশ লইয়াই যেমন রানাঘাট অপরদিকে তেমনি দে চৌধুরী বংশের নামোল্লেখ না করিলে রাণাঘাটের ইতিহাস অসমাপ্ত রহিয়া যায়, কেন না পাল চৌধুরী ও দে চৌধুরী লইয়াই রাণাষাটের ইতিহাস গঠিত। যে সময়ে কৃষ্ণপান্তী ব্যবসা দ্বারা উন্নতি লাভ করেন, তাহারই সমকালে দে-চৌধুরীগণের পূর্বপুরুষ রামসুখ দে-চৌধুরী মহাশয়ও ব্যবসায় দ্বারা নিজের আর্থিক উন্নতিসাধন করেন। বৰ্ত্তমান কালে রাণাঘাটের বড় বাজারে যেখানে ৬/মদনমোহন বিগ্রহের শ্ৰীমন্দির প্রতিষ্ঠিত কথিত আছে সেই স্থানেই তাঁহার সর্বপ্রথম দোকান স্থাপিত ছিল, পরে ব্যবসায়ের উন্নতির সহিত মালদহ, হাটখোলা প্ৰভৃতি অঞ্চলে গদী বাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া বিস্তীর্ণভাবে ব্যবসা আরম্ভ করেন । এই মালদহের গদী হইতেই তঁহাদের সবিশেষ উন্নতি সাধিত হয় এবং ক্রমে সেই আয় হইতে জমিদারী ক্রয় করেন। ইহাদের পুর্ব বসত বাটী নদীকুলে স্থাপিত ছিল, পরে নদীর ভাঙ্গনে বাটী ভগ্ন হইলে এবং আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল হইলে তঁাহারা ১১১৮ সালে তঁহাদের বর্তমান আবাস বাটী নিৰ্ম্মাণ করেন। এই বংশের স্থাপয়িত রামসুখ যে কেবল মেধাবান শক্তিশালী পুরুষ ছিলেন তাহা নহে; তিনি সাতিশয় ধৰ্ম্মশীলও ছিলেন । ধৰ্ম্মই তাহার প্রাণ তুল্য ছিল। তিনি যে ‘বার মাসে তের পাৰ্বণ” ও অতিথি সেৰা রূপ মহাজজ্ঞ অনুষ্ঠান করিয়া গিয়াছেন। তঁহার বংশীয়গণ আদ্যাপি তাহ সাধ্যমত সম্পন্ন করিয়া আসিতেছেন। বৎসরে অনূ্যন ৬০ ০০ হাজার লোক আজিও তঁহাদের দ্বারে অন্নের জন্য উপস্থিত হয় এবং তঁহাদের ভক্তি শ্রদ্ধাদত্ত উপহার গ্ৰহণ করিয়া প্ৰীত হয়। এই অতিথিসেবী বংশে রামসুখ ও যে সকল উপযুক্ত ব্যক্তি জন্ম গ্ৰহণ cन 65ोभूनी दरभं। করিয়া বংশের গৌরব উজ্জ্বলতর করিয়া গিয়াছেন, তাহদের মধ্যে দাতারাম, লক্ষ্মীকান্ত, বৈকুণ্ঠনাথ প্রমুখ। রামহুখের ছয় পুত্র ব্যতীত শ্ৰীনাথ, রাধাময়, রামলাল দেচৌধুরী মহাশয়গণের নাম উল্লেখযোগ্য। শ্ৰীনাথ, সত্যনিষ্ঠ ও ধাৰ্ষিক ছিলেন ; রাধাময়, ক্রিয়াশীল ও পণ্ডিতানুরাগী ছিলেন ; তাহার প্রণীত মুজিত ‘নবোপাখ্যান” নামক সামাজিক নকসা প্তাহার নাম জােগারুক রাখিয়াছে।