পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSR नानी क्षा-काछिनी । আছে ; তাহদের ধারণা মজুরি খাটিলে তাহদের মান যায়। কেহ কেহ দেশে মজুরি খাটিতে লজ। বোধ করে, কিন্তু বিদেশে গিয়া মজুরী খাটা অপমানের কাছ মনে করে না। এইরূপে অনেক চাষী দক্ষিণ ও পুৰ্ব্ব জেলায় ধান কাটিতে ও মাটী কাটিতে যায় এবং বেশ দশ টাকা রোজগার করিয়া আনে। এই কুসংস্থা দূর হইলে কৃষকদিগের উন্নতি হওয়া সম্ভব। মজুরদিগের আয় পূর্বাপেক্ষ কিছু বাড়িয়াছে। ধান্তের কর বৃদ্ধি হওয়াই ইহার একমাত্র কারণ। কিন্তু যে পরিমাণে খাদ্য জিনিষের মুল্য বাড়িয়ছে, মজুরির আয় সে পরিমাণে বাড়ে নাই। সাধারণ মজুরের পূৰ্ব্বে দৈনিক আয়ু ছিল ৩/০ হইতে ৩/১০ ; এখন হইয়াছে । ০ হইতে ॥১০ ; তবে ধান ও পাট কাটার সময়ে মজুরগণ খুব বেশী উপাৰ্জন করে। ধান কাটার মজুরি দৈনিক ১/০ ও দুই বেলার খোরাকী। পাটকােটার মজুরির কোন নির্দিষ্ট হার নাই ; ফুরাণ চুক্তি করিয়া প্রায় কাজ করা হয়। ইহাতে কোন কোন মজুর দৈনিক ২২ টাকা হইতে ৩২ টাক{ও রোজগার করিতে পারে। এই জন্য অনেক মজুরের eद श्i bायी अgoस्क डाल । জিনিষ দুমুল্য হওয়াতে সৰ্ব্বাপেক্ষ। মধ্যবৃত্তি শ্রেণীর লোকেরই বেশী কষ্ট ইইয়াছে। যে গরিব ভদ্রলোকের পরিবারে পাঁচটা লোক ও মাসিক আয় Rty টাকা। কিন্স ৩০ টাকা। তাছার বাৰ্ত্তমান সময়ে ৬২ টাকা দরে চাউল কিনিয়া সংসার যাত্র নির্বাহ করা বড়ই কঠিন । এই জন্য মধ্যবৃত্তি ভদ্রলোক স্বচ্ছল অবস্থায় থাকিতে গেলে তঁহার মাসে গড়ে ৮১ টাকার কম কিছুতেই কুলায় না। কারণ কৃষক অপেক্ষ তাহার মাছ, ডাইল, দুধ, জ্বালানি কাঠ, কাপড়, ঘরমেরামত, ধোপা, নাপিত, ছেলেদের লেখাপড়া শিখান ইত্যাদি অনেক বেশী খরচ পড়ে। একটা পরিবারের পাঁচটী লোক থাকিলে ৫ × ৮ = ৪০ টাকার কম মাসে নির্বাহ হওয়া কঠিন। অর্থাৎ বৎসরে খরচ ৪৮০ টাকার অবশ্যক। তবে একান্নবৰ্ত্তি পরিবার বলিয়া অনেকের তিন চারিশত টাকার মধ্যেই চলিয়া যায়। বিবাহ শ্ৰদ্ধাদি উপস্থিত হইলে ঋণ করিতে হয়। সৌভাগ্যের বিষয় এ মহকুমায় তেমন ঘন ঘন দুর্ভিক্ষ হয় নাই। সৰ্ব্বাপেক্ষা বড় দুর্ভিন্ধ হইয়াছিল। ১৮৬৫-৬৬ সালে। শুনা যায়। তখন কোন शृश्छ् बाद्रा বাহিরে বসিয়া ভাত খাইতে পারিত না; পেটের জ্বালায় অন্য লোকে আসিী *