পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ৯৭ সে টাকা এতদিন পর্য্যস্ত ফেরৎ দেওয়া হয় নাই। এই চিত্রকরের নাম নওরোজি । বোম্বাইয়ের একটি হোটেলে নওরোজির সহিত প্রেমজির পরিচয় হয়। নওরোজি ও প্রেমজি উভয়েই সমবয়স্ক, উভয়েই পিতৃমাতৃহীন অনাথ ; সুতরাং অল্প সময়ের মধ্যেই পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্ব জন্মিয়াছিল ; বিশেষতঃ, এমিলির দৃষ্টিতে এমন একটি সকরুণ ও বেদন-ব্যাকুল ভাব ছিল, যে প্রেমজি তাহার অভাবের কথা জানাইবামাত্র নওরোজি নিজের যথেষ্ট অসচ্ছলতা সত্ত্বেও তাহাকে টাকা ধার দিয়াছিলেন ; তিনি যে টাকা কয়ট ফেরৎ পাইবেন, এরূপ আশা রাখিয়া তিনি তাহ ধার দেন নাই। নওরোজি বোম্বাই সহরের অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তির অট্টালিকার অভ্যন্তরে ও বহিঃপ্রাচীরে নানারূপ চিত্রের কাজ করিতেন ; চিত্রবিদ্যায় তাহার অখণ্ড অনুরাগ ছিল, কিন্তু ঘরদ্বার চিত্র করিয়া তিনি যে জীবনপাত করিবেন, এরূপ তাহার অভিপ্রায় ছিল না। তৈলচিত্রের অঙ্কণেই তিনি প্রকৃত আনন্দ লাভ করিতেন। ধনাঢ্য ব্যক্তিদের গৃহপ্রাচৗরাদি চিত্র করিয়া তিনি যাহ উপার্জন করিতেন, তাহাতেই তাহার ভরণপোষণের ব্যয় নিৰ্ব্বাহ হইত ; অবসর কালে তিনি র্তাহার ক্ষুদ্র বাসগৃহের নিভৃত কক্ষে বসিয় নিবিষ্ট চিত্তে নানাপ্রকার তৈলচিত্র অঙ্কিত করিতেন । আবদররহমন ষ্ট্রীটের একটী ক্ষুদ্র গলির মধ্যে একটি অপ্রশস্ত অট্টালিকার তৃতীয় তলে কয়েকটি কক্ষ ভাড়া লইয়। তিনি সেখানে বাস করিতেন। প্রেমজি নওরোজির ঠিকানা জানিত ; একখানি ভাড়াটে গাড়ী লইয়া সে নওরোজির গৃহসন্নিধানে উপস্থিত झझेल । | & " .