পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ده دا নওরোজির এই ব্যবহারে প্রেমজি অত্যন্ত ক্ষুণ্ণ হইল, কিন্তু মনের ভাব গোপন করিয়া বলিল,"আচ্ছা থাক, আমি আপনার গোপনীয় চিত্র দেখিতে চাই না।”—অনন্তর সে টেবিলের কাছে একখানা চেয়ারে বসিয়া পড়িয়া নওরোজির ছবির ‘আলবাম’খানি নাড়িতে লাগিল। নওরোজি তুলিট তুলিয়া লইয়া পুনৰ্ব্বার স্বকার্য্যে মনঃসংযোগ করিলেন । "আলবাম’খানি নাড়িতে নাড়িতে প্রেমজি কখন যে তাহ খুলিয়। তাহার অভ্যন্তরস্থ ফটোগুলি দেখিতে আরম্ভ করিয়াছিল, নওরোজি তাহা লক্ষ্য করেন নাই। একখানি ছবির দিকে চাহিয়া প্রেমজি বলিয়া উঠিল, “বেশ সুন্দর ছবি ত !” প্রেমজির এই কথায় নওরোজির দৃষ্টি সেই দিকে আকৃষ্ট হইল ; তিনি বিরক্তিভরে উঠিয়া আসিয়৷ প্রেমজির হাত হইতে ঈষৎ জোরে "আলবাম’খানি টানিয়া লইলেন ; তাহার পর রুক্ষ্মস্বরে বলিলেন, “মহাশয়, মাপ করিবেন ; আমার এই আলবামখানি সকলকে দেখাইবার জন্য নয়। আমার পরম বন্ধুদের ভিন্ন অন্ত কাহাকেও আমি এই ঘরে লইয়া আসি না ; আজ আমার সে নিয়ম ভঙ্গ হইয়াছে।” নওরোজির ব্যবহারে প্রেমজি অত্যন্ত অপমান বোধ করিল, তাহার মনে ক্রোধের সঞ্চার হইল ; সে বিরক্তিভরে বলিল, “মহাশয়, আমি আপনার নিকট ঋণী, না থাকিলে কখনই আপনার গৃহে পদণপণ করিতাম না ; ঋণ পরিশোধের জন্যই এখানে আসিয়াছিলাম। কিন্তু আপনি অকারণে আমার যেরূপ অপমান করিলেন, তাহা আপনার মত ইতর কারিগরের পক্ষে সঙ্গতই হইয়াছে।” প্রেমজি সবেগে সেই কক্ষ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইল। দ্বিতলের সি ড্রী