পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ - حجتیه تحت که معج) متموج تصحجیح= প্রেমের বিচিত্ৰ গতি নওরোজির কক্ষে প্রবেশ করিয়া কর্ণেলিয় অবগুণ্ঠন উন্মোচিত করিল ; মৃদুহাস্তে বলিল, “আমার কি আসিতে বেশী বিলম্ব হইয়াছে ?” নওরোজি বলিলেন, "না, একটুও বিলম্ব হয় নাই ; কিন্তু পাছে বিলম্ব হয়—এই ভয়ে আমি অধীর হইয়া ছিলাম।” কর্ণেলিয়। একখানি চেয়ারে উপবেশন করিল। এই স্থানে আমাদিগকে একটু পূৰ্ব্বকথার আলোচনা করিতে হইতেছে । মহাসন্ত্রাস্ত লক্ষপতির একমাত্র কন্যা কর্ণেলিয়া, নওরোজির ন্যায় অর্থহীন, নিরাশ্রয়, অনাথাশ্রমে প্রতিপালিত, বংশগৌরব-বঞ্চিত যুবকের বাসগৃহে একটি পরিচারিকামাত্র সঙ্গে লইয়া উপস্থিত হইল । ইহা কি সম্ভব ? পারসী সমাজের সর্বশ্রেষ্ঠ যুবকগণ যাহার প্রণয়াকাঙ্ক্ষাকে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সাধনা মনে করিতে পারিত, যাহার আলোকসামান্য রূপ পারসী ধনপতিগণের আলোচনার বিষয় হইয়া উঠিয়াছিল, যাহার একটি ক্ষুদ্র আদেশ পালনের জন্য শত দাসদাসী কৃতাঞ্জলিপুটে নতমস্তকে প্রতীক্ষা করিয়া থাকে,—সেই মহা ঐশ্বৰ্য্যশালিনী রূপবতী গুণবতী বুদ্ধিমতী কর্ণেলিয়া একটি দরিদ্র যুবককে প্রণয়াস্পদ জ্ঞান করিয়া আজ একটি অপরিচ্ছন্ন পল্লীর সঙ্কীর্ণ গলির মধ্যে অবস্থিত জীর্ণ ও ক্ষুদ্র অট্টা