পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} GN) নন্দনে নরক AASAASAASAASAASAAMA SAeMAAASAAAAS AAASASAAA AAAA AAAA AAAA AAAeeMMASAMASAeSeM AeSAAAAAAAS অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । এই অট্টালিকাটিই চিত্রিত করিবার ভার নওরোজির হস্তে সমৰ্পিত হইয়াছিল। নওরোজি যে সময়ে এই নবনিৰ্ম্মিত অট্টালিকাটী চিত্রিত করিতে আসিলেন, তখন মাঘমাস প্রায় শেষ হইয়াছিল। নব বসন্ত সমাগমে মেটা সাহেবের এই পরম রমণীয় উদ্যানভবন নববিকসিত কুসুমের ও আম্র মঞ্জরীর মধুর সৌরতে যেন যুগান্ত পূর্বের কোনও অপূৰ্ব্ব অজ্ঞাত রহস্য বহন করিয়া আনিতেছিল। প্রকৃতির হৃদয়বিমোহন সৌন্দর্য্যে নওরোজির ভাবপ্রবণ হৃদয় অননুভূতপূৰ্ব্ব আনন্দরসে অভিষিক্ত হইল ; বিশেষতঃ, দুই চারি দিনের মধ্যেই মেটা সাহেবের অনিন্দ্যসুন্দরী, দেববালার ন্যায় সরলতা ও পবিত্রতাময়ী ষোড়শী কন্যা তরুণী কর্ণেলিয়া তাহার হৃদয় মোহিত করিল। কর্ণেলিয়াকে দেখিয়া নওরোজির মনে হইল, এতদিন তিনি যে সৌন্দর্য্যের আদর্শকে হৃদয়ের নিভৃত অন্তরালুে সংস্থাপিত করিয়া অতি সন্তপণে দিবানিশি পূজা করিতেছিলেন, সেই আরাধ্য মানসী দেবী তাহার পূজায় সন্তুষ্ট হইয়া ভক্তের সুকঠোর সাধনার অবসানে তাহাকে অমরত বরদানের জন্যই ষেন মোহিনী নারী মূৰ্ত্তিতে আজ তাহার সম্মুখে আবিভূত হইয়াছেন । রূপমুগ্ধ তরুণ চিত্রকর সেই সৌন্দর্য্যের নিকট মস্তক অবনত করিলেন ; তাহার অঙ্গুলি হইতে তুলিক স্বলিত হইয়া পড়িল ; তাহার বিস্ময় প্রকাশেরও অবসরমাত্র রহিল না –কর্ণেলিয়৷ ইহার কয়েক মাস পূৰ্ব্বে তাহার প্রাচীন পিতৃস্বসার সহিত বায়ুপরিবর্তনের জন্য নৌসেরার কুঞ্জভবনে বাস করিতে আসিয়াছিল। সেখানে কর্ণেনিয়ার কোনও সখী বা অন্ত কোন আত্মীয়া ছিলেন না ;