পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ Seo SS SSAAAA AAAA SAAAAA AAAS S AAAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAASAAAA AeAeAeee E AAAA AAASS সেই নির্জন প্রবাসে তাহার একক জীবনযাপন অত্যন্ত কষ্টকর হইয়। উঠিয়াছিল। নওরোজি মিষ্টভাষী, বিনয়ী, আলাপে সুনিপুণ, সুকণ্ঠ ও রূপবান যুবক । কর্ণেলিয়ার হৃদয় যেমন সুকোমল তেমনই তাহ মমতা ও সহানুভূতিতে পূর্ণ ছিল ; একদিন সে কথাপ্রসঙ্গে শুনিতে পাইল, নওরোজির পিতামাত ভ্রাত বা ভগিনী কেহই নাই, এই বিশ্বপৃথিবীতে তাহাকে স্নেহ করিবার, তাহাকে যত্ন করিবার একটী প্রাণীও বৰ্ত্তমান নাই ; এমন কি, তাহার নিজের গৃহ পৰ্য্যন্তও নাই ! আবাল্য তিনি অনাথাশ্রমে প্রতিপালিত, এবং যৌবনারম্ভ হইতেই তিনি একমুষ্টি অন্নের জন্য এই শ্রমসাধ্য কার্য্যে প্রবৃত্ত !—নওরোজির এই সকরুণ আত্মকাহিনী শুনিয়া তখনই কর্ণেলিয়ার সুকোমল নারী-হৃদয় কি এক অব্যক্ত বেদনায় টন্‌ টন্‌ করিয়া উঠিল, করুণায় ও সমবেদনায় তাহার নয়নে মুক্তাবিন্দুর ন্যায় অশ্রুর সঞ্চার হইল ; অল্প দিনের মধ্যেই যুবক যুবতীর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস প্রগাঢ় হইয়া উঠিল, এবং তাহ শীঘ্রই ভাবাস্তরে পরিণত হইল। কিন্তু উভয়ের কেহই মনের সেই অতৃপ্তি ও অব্যক্ত ব্যাকুলত পরস্পরের নিকট প্রকাশ করিতে সাহসী হইলেন না । নওরোজির নৌসেরায় উপস্থিত হইবার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে একদিন কর্ণেলিয়৷ অম্লহারের সময় কথাপ্রসঙ্গে তাহার পিসিমাকে বলিল, “দেখ পিসিম, আমাদের নূতন বাড়ী চিত্রিত করিবার জন্য যে চিত্রকরটি আসিয়াছে, উহার বয়স বড় কম, দেখিয়া বোধ হয় কোনও ভদ্রলোকের ছেলে, নিরুপায় হইয়া অগত্য এই রকম সামান্ত কাজ করিতেছে! উহার কথাবার্তা রকম-সকম সামান্ত কারিগরের মত নহে।”