পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ > X 9 মুখে ভদ্রলোকের ভাষা কাণে কোনমতে বরদাস্ত হয় না ; কি বলিব আজ বুড়া কৰ্ত্ত বাচিয়া নাই, তিনি বাচিয়া থাকিলে, জুতার চোটে তোর হাড় গুড়া করিয়া দিতেন ; তবে আমার বড় দয়ার শরীর, আমি তোকে তেমন কোনও শাস্তি দিতে চাহি না ; কিন্তু এখনই এ বাড়ী হইতে চলিয়া যা । তোর জিনিস পত্র যা কিছু আছে, বাধিয়া লইয়া এখান হইতে এখনই দূর হ।” কত্রীর এই কঠোর আদেশে নওরোজি পদমাত্রও নড়িলেন না, যেখানে দাড়াইয়া ছিলেন সেই খানেই স্থিরভাবে দণ্ডায়মান রহিলেন ; একবার কাতর নেত্রে উদ্ধে বাতায়নের দিকে চাহিলেন, কিন্তু সেখানে পদ্মপত্রের ন্যায় ঢল ঢল দু’খনি সহাস্য নয়নপল্লব তাহার দৃষ্টিপথে পতিত হইল না ; কর্ণেলিয়া তখন সেখানে ছিল না।—নওরোজি হতাশ ভাবে তাহার-উৎক্ষিপ্ত দৃষ্টি অবনত করিয়া আবার তাহ মৃত্তিকা-সংলগ্ন করিলেন । কঠোর তিরস্কারেও নওরোজিকে পলায়নোস্থ্যত বা বিচলিত না দেখিয়া কত্রীর মনে কিঞ্চিৎ বিষ্ময়ের সঞ্চার হইল। র্তাহার ক্রোধের প্রথম আক্রমণ হাস হইলে, তিনি অপেক্ষাকৃত সংযতস্বরে বলিলেন, “আমি বোধ হয় তোমাকে কিছু অধিক তিরস্কার করিয়াছি, তোমার প্রতি কঠোর ব্যবহার করিয়াছি ; কিন্তু কেবল তুমি একা নহ, আমিও তিরস্কার লাভের যোগ্য"। কারণ,আমি চক্ষু মেলিয়া কোন দিকে চাহিয় দেখি নাই,অন্ধ হইয়া বসিয়াছিলাম ; কর্ণেলিয়াকে আমি সময়ে সাবধান করি নাই। আমি প্রাচীন হইয়াছি, তাই ভুলিয়া গিয়াছি, স্বাধীনত পাইলে যুবক যুবতী কিরূপে তাহার অপব্যবহার করে। আনি নিশ্চিত্ত