পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ ーニー三ミrーのご三ー রমণী না পিশাচী ? নোসের পরিত্যাগ করিয়া নওরোজি বোম্বাই নগরে উপস্থিত হইলেন, এবং সেখানে তিনি স্বাধীনভাবে চিত্রকরের কাজ করিতে লাগিলেন। সে সময় গৃহ-চিত্রকরের সংখ্যা একালের মত এত অধিক ছিল না ; উৎকৃষ্ট গৃহ-চিত্রকর বলিয়া অল্পদিনের মধ্যেই বোম্বাইয়ের সন্ত্রান্ত সমাজে তিনি পরিচিত হইয়। উঠিলেন । সুতরাং জীবিকার্জনের জন্য আর তাহার কোন ও চিন্ত! বহিল না । বোম্বাইয়ে অগসিয়া তিনি যে বাস। ভাড়া লইয়াছিলেন, তাহার কথা পাঠকগণ পূৰ্ব্বে জানিতে পারিয়াছেন । নওরোজির নোসের-ত্যাগের প্রায় তিনমাস পর মেট। সাহেবের বৃদ্ধ ভগিনীর মৃত্যু হয় । পিতৃস্বসার মৃত্যুর পর কর্ণেলিয়া বোম্বাইয়ে চলিয়া আসিল । বোম্বাইয়ে আসিয়া কর্ণেলিয়া কয়েক বার গোপনে নওরোজির সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিল। এমন কি, কর্ণেলিয়া নওরোজির বাসায় যাইতেও কুষ্ঠিত হয় নাই ; কিন্তু সে কথা কর্ণেলিয়ার বিশ্বস্ত পরিচারিকা ইসু বাই ভিন্ন আর কেহ জানিত না । কর্ণেলিয়া উপবেশন করিয়া নওরোজিকে জিজ্ঞাসা করিল, “আজি আমাকে কেমন দেখাইতেছে ?” নওরোজি মৃদ্ধ হাস্তে বলিলেন, “অতি সুন্দর।”