পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ >S-> নওরোজি সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিলেন, “সুবিধা হইবে ন। কেন ?” কর্ণেলিয়া বলিল, “তোমার সহিত আমার এই শেষ সাক্ষাৎ ।” কর্ণেলিয়ার কথায় নওরোজি মৰ্ম্মাহত ভাবে ক্ষণকাল বসিয়। রছিলেন ; তাহার পর কাতর ভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কৰ্ণেলিয়া, কোনও কারণে কি তুমি আমার উপর অসন্তুষ্ট হইয়াছ ? কর্ণেলিয়া, আমার কোন অপরাধে আমার প্রতি তুমি এইরূপ গুরুতর দণ্ডবিধান করিতেছ ?” কর্ণেলিয়া ধীর স্বরে বলিল, “না তোমার কোনও অপরাধ নাই । অপরাধের কথা কেন বলিতেছ? তুমি আমায় ফটো চাহিয়াছিলে, তাহা তোমাকে দিয়াছি । আমার ছবি আঁকিবার সময় কয়েক দিন তোমার সম্মুখে থাকা আবশ্বক বলিয়াছিলে, আমি তোমার সে অনুরোধও রক্ষা করিয়াছি। এজন্য কয়েক বার আমাকে তোমার বাসায় আসিতে হইয়াছে। তুমি কি মনে কর আমার ন্যায় সম্ভ্রান্তবংশীয় কুমারীর পক্ষে এ ব্যবহার সঙ্গত হইয়াছে ? আমার এই আচরণ লক্ষ্য করিয়া যদি কেহ আমার লিন্দা করে, যদি আমার কলঙ্ক প্রচার করে, তাহার প্রতিবাদে আমার কি বলিবার আছে ? তাহাতে কি আমার পিতামাতার উন্নত মস্তক অবনত হইবে না ? এতদ্ভিন্ন আরও একটা কথা আছে । তুমি এত যত্নে আমার যে ছবি আঁকিয়াছ, তাহা কোন কাজে লাগিবে ? ইহা কাহারও নিকট প্রকাশ করিবারও ত তোমার অধিকার নাই ; প্রকাশ করিলে কলঙ্কপ্রিয় নিন্দুকের মুখে অনেক অমূলক জনরব শুনিতে পাওয়া যাইবে। স্মরণ রাখিও–প্রচুর পরিমাণে