পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ 〉 a(? দেখিলে বুঝিতে পারা যায়, তাহা কোনও ধনকুরের সম্পত্তি। ঘোড়ার সাজ ও কোচম্যান সহিসের পরিচ্ছদের প্রতি পথিকগণের সবিস্ময় দৃষ্টি আকৃষ্ট হইতেছিল। নওরোজি চলিতে চলিতে থমকিয়া দাড়াইলেন, তাহার পর গাড়ীর কাছে আসিয়া সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিলেন, "এমিলি বিবি ! আমি ঠিক ঠাহর করিতে পারি নাই ।” যুবতী খল খল করিয়া হাসিয়া বলিল, “আমি আর এখন এমিলি বিবি নই, আমি এখন ‘গুল বাই সাহেবা ।” ঠিক সেই সময়ে একটি যুবক পাশের সেই দোকান হইতে নামিয়া সেই গাড়ীতে উঠিল ; যুবকটি বহুমূল্য পরিচ্ছদে ভূষিত হইলেও তাহার মুখ খানি প্রায় মর্কটের মুখের মত –সন্ত্রাস্ত সমাজে এমন কদাকার মূৰ্ত্তি অত্যন্ত দুলভ। এই মৰ্কটাকৃতি যুবকটি এমিলির নুতন প্রণয়ী জাহাঙ্গীর জি কাম । যুবকের বয়স—একুশ বাইশ বৎসরের অধিক নহে। যুবক একবার বক্র কটাক্ষে নওরোজির দিকে চাহিয়া এমিলিকে ইঙ্গিতে জিজ্ঞাসা করিল, “উনি কে ?” এমিলি বলিল,“উনি আমার একটি বন্ধু, উ হার নাম নওরোজি ।” জাহাঙ্গীর জি বলিল, “তোমার এই বন্ধুটির নাম যেন আমার পরিচিত বোধ হইতেছে ; উনি করেন কি ?” এমিলি বলিল, ”উনি চিত্রকর।” জাহাঙ্গীর জি বলিল, “আপনি আমার পিতা দেণরাবজি কাম। সাহেবের অট্টালিকা চিত্রিত করিবার ভার পাইয়াছেন না ?”