পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ > a." ছিলাম, কোনও দিন দুই বেলা আহার জোটে নাই । তাহাকে চিরদিনের জন্য ত্যাগ করিয়াছি।” নওরোজি বলিলেন, “কিন্তু তাহার সঙ্গে আজ আমার দেখ। হইয়াছিল, শুনিলাম সে তিন শত টাকা বেতনের একটি চাকরী পাইয়াছে।” এমিলি অবজ্ঞাতরে বলিল, ”মিথ্যাবাদী, শঠ ! যাহার তিন পয়সা উপাজ্জনের ক্ষমতা নাই, তাহাকে মাসিক তিনশত টাকা বেতন দিয়া পুষিবে এমন নিৰ্ব্বোধ কে আছে ?—এমন অপদার্থের কথ। আপনি আমার কাছে আর বলিবেন না ।” এমিলি নিমন্ত্রিত ভদ্র লোকদের অভ্যর্থনার জন্য চলিয়া গেল । নওরোজি বসিয়া বসিয়৷ ভাবিতে লাগিলেন, “নারীর প্রেম কি এতই অসার ? এতই অল্পস্থায়ী ? প্রিয়তমের দুর্ভাগ্যের দিনে যে নারী আত্মসুখের লোভে তাহাকে পরিত্যাগ করিতে কুষ্ঠিত না হয়, সে রমণী না পিশাচী ?” *