পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ SO> যন্ত্রণা সহ্য করিতে সন্মত নহে ; তাহার সঙ্গে দেখা করিলে সে হয় ত তোমাকে এখন চিনিতেই পরিবে না !” প্রেমজি বলিল, “কিন্তু সে যাহাই লিখুক, আমার বিশ্বাস সে সত্যই আমাকে ভালবাসে, এবং একদিন সে আমার নিকট ফিরিয়া আসিবে ।” জেমসেটুজি বলিলেন, “যে যুবতী স্বেচ্ছায় তোমাকে পরিত্যাগ করিয়া অন্যের অঙ্গশায়িনী লইয়াছে, সে আবার তোমার কাছে ফিরিয়া আসিবে, তোমাকে ভাল বাসিবে, নিতান্ত পাগল ন হইলে তুমি একথা বলিতে না । তাহার কথা মুখাগ্রে আনিতেও যে তোমার লজ্জা হইতেছে না, ইহাই আশ্চর্য্য ! তুমি আমার উপদেশ শুন, তাহার কথা একবারে ভুলিয়া যাও। পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ দাও যে, এমিলি তোমাকে ত্যাগ করিয়া গিয়াছে। ভবিষ্যতে তোমার কিরূপ সৌভাগ্য লাভের আশা আছে তাহ শুনিলে তুমি আনন্দে বিহবল হইয় উঠিবে।” প্রেমজি বলিল, “আপনি দয়া করিয়া আমাকে তিনশত টাকা বেতনের চাকরী দিয়াছেন, ইহাই আমার যথেষ্ট সৌভাগ্যের কথা ; ইহা অপেক্ষ। অধিক সৌভাগ্য লাভের অণর কি আশা আছে তাহ। জানিনা ।” জেমসেইজি বলিলেন, “তোমার জন্য আমি যাহা করিয়াছি তাহ অতি যৎসামান্য ; আমার সাহায্যে তুমি এরূপ বিপুল ঐশ্বৰ্য্য লাভ করিবে যে, তাহ কল্পনা করিতেও পার না । আমি ধনবান ; বৃদ্ধ হইয়াছি, কিন্তু আমার পুত্র কন্যা নাই ; যদি তুমি এমিলিকে চিরজীবনের মত বিস্তৃত হও, তাহা হইলে তুমি আমার পুলস্থানীয় হইয়া আমার