পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ○○ নন্দনে নরক গণের দৃষ্টি সহজেই তাহার প্রতি আকৃষ্ট হইল ; তাহাদের কলকণ্ঠের গুঞ্জন থামিয়া গেল ; সকলেই বিস্ময়বিমুগ্ধ ভাবে তাহাকে দেখিতে লাগিলেন। লজ্জায় প্রেমজির মুখ আরক্তিম হইয়া উঠিল, সে কোন কোন যুবতীর মুখের দিকে দুই একবার চাহিয়াই দৃষ্টি অবনত করিল। প্রেমজির এই ভাব দেখিয়া জেমসেট্‌জি অনুচ্চস্বরে তাহাকে বলিলেন, “তুমি কি কখনও ভদ্র সমাজের মহিলাগণের সম্মুখে যাও নাই ? তোমার এত ভয় হইতেছে কেন ? তোমার ঠিক দক্ষিণে যে যুবতী দাড়াইয়া আছে, তাহার দিকে একবার চাহিয়া দেখ ; এই যুবতীই তোমার ভাবী পত্নী ।” জেমসেটুজি যে যুবতীর কথা বলিলেন, সে তখন তাহার সন্মুখস্থ একটি ‘সো কেসে’র উপর হইতে চক্ষু ফিরাইয়া বক্রভৃষ্টিতে ঘন ঘন প্রেমজিকে দেখিতেছিল । তাহার বয়স আঠার উনিশ বৎসর হইতে পারে। যুবতী সুন্দরী, কিন্তু জেমসেটুজি তাহার রূপের যেরূপ ব্যাখ্য করিতেছিলেন, যুবতী তত সুন্দরী নহে ; তবে তাহার পরিচ্ছদের ও অলঙ্কারের যেরূপ পারিপাট্য ছিল, তাহাতে হঠাৎ দেখিয়া তাহাকে অত্যন্ত সুন্দরী বলিয়াই মনে হইত। জেমসেটুজির নির্দেশানুসারে প্রেমজি সেই যুবতীর দিকে চাহিবামাত্র পরস্পরের দৃষ্টি বিনিময় হইল, মুহুর্তের জন্য উভয়েরই হৃদয় কম্পিত হইল । প্রেমজির মনে হইল, এমন রূপসী জীবনে সে অধিক দেখে নাই। যুবতীও তাহার মানসিক চাঞ্চল্য গোপনের জন্য অন্য দিকে মুখ ফিরাইল । জেমসেটুজি প্রেমজিকে লইয়। ঘুরিতে ঘুরিতে সেই কক্ষের অপর