পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ > ひ" প্রান্তে উপস্থিত হইলেন ; নিকটে কেহ নাই দেখিয়া তিনি প্রেমজিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন দেখিলে ?” প্রেমজি উৎসাহের সহিত সহস্যে বলিল, “অতি চমৎকার !” জেমসেটুজি বলিলেন, "কেবল রূপেই চমৎকার নয়—অর্থেও চমৎকার । উহার পিতার লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তি, আর এই যুবতী তাহার পিতার একমাত্র কন্যা ।” প্রেমজি বলিল, “যদি তাহার পিতার এক পয়সারও সম্পত্তি না থাকিত, তাহা হইলেও আমি এই যুবতীর প্রেমণকাজক্ষায় তাহার পদতলে লুষ্ঠিত হইতে পারিতাম। উহার নাম কি ?” জেমসেটুজি বলিলেন, “উহার নাম নাথুর। বাই।” প্রেমজি দূরে দাড়াইয়া সতৃষ্ণ নয়নে নাথুরাকে দেখিতে লাগিল । সে ভাবিয়াছিল তাহার এই সতৃষ্ণ দৃষ্টি কেহই দেখিতে পায় নাই, কিন্তু ইহা তাহার ভ্রম ; সেই কক্ষের বিভিন্ন অংশের প্রাচীরে যে সকল সুবৃহৎ দর্পণ বিলম্বিত ছিল, সেই সকল দপণের সহায়তায় নাথুরা বাই প্রেমজির প্রত্যেক অঙ্গ ভঙ্গি ও মুখভাবের পরিবর্তন লক্ষ্য করিতেছিল । ইতিমধ্যে পাশের একটা স্ফটিকময় দ্বার খুলিয়া জহর বাপুভাই মতিওয়াল সেই কক্ষে প্রবেশ করিল, জেমসেটুজিকে সম্মুখে দেখিয়া সে সসন্ত্রমে অভিবাদন করিয়া বলিল, “আপনি কখন আসিয়াছেন ? আমার জন্য বোধ হয় অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিতেছেন ; আমি একটু কাজে ব্যস্ত ছিলাম, ক্রট মার্জন করিবেন। এই যুবকট বোধ হয় আপনাব সঙ্গী ? আপনারা আসুন, আমার আফিস-ঘরে চলুন।”