পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ ఏ SAMA SAMAAA S এমিলি বলিল, “ইহাই কি আমাদের ক্ষুধা নিবৃত্তির সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় বলিয়া মনে করিতেছ?” প্রেমজি বলিল, “ইহা বন্ধক রাখিয়া অন্ততঃ একটি টাকাও ত পাইবে, তাহাতেই আমাদের দুই দিন কষ্টে-স্বষ্টে চলিতে পারে।” এমিলি বলিল, “তাহার পর ?” প্রেমজি বলিল, “তাহার পর যাহা হউক একটা উপায় স্থির করিতেই হইবে। দেখ এমিলি, আমার সঙ্গে আসিয়া তুমি অনেক কষ্ট সহ করিয়াছ ; আরও কিছু সহ কর । আমাকে একটু ভাবিবার সময় দাও । একথা নিশ্চয় জানিও—চেষ্টা, যত্ন, পরিশ্রম চিরদিন ব্যর্থ হয় না। দুর্ভাগ্যক্রমে আজ আমরা সংসার সমুদ্রে ভাসিতেছি, কোনও দিকে কুল-কিনারা কিছু দেখিতে পাইতেছি না ; তথাপি আশা হয়, একদিন বুঝি কুল পাইব ; জীবনের যুদ্ধে একদিন জয়লাভ করিতে পারিব ; কিন্তু সে জন্য ধৈর্য্য ধরিয়া থাকিতে হইবে।” এমিলি বলিল, “কিন্তু কি খাইয়া ধৈর্য্য ধরিতে হইবে ?” প্রেমজি বলিল, “এমিলি ব্যস্ত হইও না, সময় কাহারও জন্য বসিয়া থাকে না, মানুষের দুদিন দুঃসময়ও কাটিয়া যায় ; তবে কিছু বিলম্বে কাটে । যাহা বলিলাম এখন তাহাই কর ; কল্যকার চিন্তা কল্য হইবে।” 疇 劇 এমিলি অসহিষ্ণুভাবে বলিল, “কালু কালু করিয়া ত কতদিন কাটাইলে ; তোমার মুখে ক্রমাগত ঐ এক কথাই শুনিয়া আসিতেছি । দেখ প্রেমজি, তোমাকে স্পষ্ট করিয়া বলি শুন, তুমি আমার কথায় রাগ করিও না ; তোমার এই জীর্ণ বিবর্ণ কোটটা বন্ধক দিবার জন্য