পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ >8° আবেগ কম্পিতস্বরে বলিলেন, “কৰ্ণেলিয়া !”—র্তাহার কণ্ঠস্বরে বিস্ময়ও অন্তবেদন পরিস্ফুট হইয়া উঠিতেছিল। কর্ণেলিয়া তাহাকে আর কোনও কথা বলিবার অবসর না দিয়াই বলিল, “হা, আমাকে এ অনুগ্রহ করিতেই হইবে । আমি জানি ইহাতে আপনার কোনও ক্ষতি হইবেন । আমাদের উভয়ের হৃদয়ে এমন কোনও বন্ধন নাই, যাহা ছিন্ন করিতে আপনার মনে বিন্দুমাত্রও কষ্ট হইতে পারে। পারসী সমাজে আমার অপেক্ষ রূপবতী ও গুণবতী বিবাহযোগ্য৷ কুমারীর অভাব নাই। তাহাদের কাহাকেও বিবাহ করিলে, বোধ করি আপনার সুখ শাস্তির অভাব হইবে না।” দস্তুর সাহেব ক্ষুণ্ণ ভাবে বলিলেন, “আমার ব্যবহার দেখিয়া যদি তুমি মনে করিয়া থাক তোমার প্রতি আমার কিছুমাত্র স্নেহ নাই, তাহা হইলে, আমাকে স্বীকার করিতে হইবে তুমি ভ্রমে পড়িয়াছ 3 এবং আমার প্রতি তুমি অবিচার করিতেছ। আমি চপলমতি বালক মহি, কোনও গুরুতর কার্য্যে প্রবৃত্ত হইবার পূৰ্ব্বে সকলদিক বিবেচনা করিয়া দেখিবার আমার বয়স হইয়াছে ; নারী চরিত্রেও আমার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। তোমার রূপে মুগ্ধ হইয়াই যে আমি তোমাকে বিবাহের সঙ্কল্প করিয়াছি এরূপ নহে ; আমি তোমার হৃদয়ের, তোমার বুদ্ধির, তোমার চরিত্র মাধুর্য্যের পরিচয় পাইয়াছি। তোমাকে বিবাহ করিলে আমার জীবন সুখে ও শাস্তিতে কাটিবে, আমার এরূপ বিশ্বাস না থাকিলে আমি তোমার পাণিগ্রহণে উদ্যত হইতাম না ।” কর্ণেলিয়া আরও কি বলিতে যাইতেছিল, কিন্তু তাহাতে বাধা দিয়া দস্তুর সাহেব বলিলেন, “তুমি কি কোনও কারণে আমার প্রতি