পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ ›6ነፃ কাহারও সহিত দেখা করিবেন না বলায় তাহার নিকট সংবাদ দেওয়া হয় নাই ; আপনি যদি বলেন তাহা হইলে সংবাদ দিতে পারি।” দস্তুর সাহেব ব্যস্তভাবে বলিলেন, “না, না, তাহাকে আর বিরক্ত করিয়া কাজ নাই ; তাহার সহিত সাক্ষাতের তেমন বিশেষ অবশ্যক ও নাই ; আমি এখন উঠিলাম।”——তিনি কর্ণেলিয়ার নিকট বিদায় লইয়৷ অত্যন্ত ক্ষুঃমনে ধীরে ধীরে সেই কক্ষ ত্যাগ করিলেন । দস্তুর সাহেব প্রস্থান করিবার অল্পক্ষণ পরে কর্ণোলয় সিড়িীর নীচে কোলাহল শুনিতে পাইল । কর্ণেলিয়া কান পাতিয়া শুনিল, কে একজন ভদ্র লোক উত্তেজিত ভাবে চাকরদের বলিতেছেন, “তোদের মনিব কি হুকুম দিয়াছে না দিয়াছে, তাহ আমি শুনিতে চাহি না ; তোদের মনিবের হুকুম তোরা মানিতে পারিস, আমি মানিতে যাইল কেন ? আমি আমার বন্ধু কাসে টজির সঙ্গে দেখা করিতে আসিয়াছি, তোরা তাহাতে বাধা দিতে আসিস ? তোদের সাহস ত কম নয় ! ফের যদি কথা কহিস, তাহা হইলে কান ছিড়িয়া দিব।” মেটা সাহেবের বন্ধু খাঁ বাহাদুর বেনানজি পেটেল, দুপ দাপ করিয়৷ সিড়িতে উঠিতে লাগিলেন ; তাহার উত্তেজিত কণ্ঠস্বর দ্বিতলের কক্ষে মেটা সাহেবের কর্ণে প্রবেশ করিয়াছিল, তিনি পায়ের বেদনায় অত্যন্ত কাতর হইলেও অতি কষ্টে তাহার কক্ষ হইতে বাহির হইয়। বারান্দায় আসিয়া দাড়াইলেন। খ। বাহাদুর মেট সাহেবকে দেখিয়াই অত্যন্ত ব্যস্ত ভাবে বলিয়া উঠিলেন, "দীনশ দস্তুরের সঙ্গে তোমার মেয়ের বিবাহের সম্বন্ধ এখনই ভাঙ্গিয় ফেল, নতুবা আমাদের দু’জনেরই বড় বিপদ ।”