পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ >&సి মেটা সাহেব বলিলেন, “এত বাজে বকিতেছ কেন । নেশা-টেশ করিয়াছ নাকি ? কি হইয়াছে তাই বল ।” প্রবল ঝটিকায় বৃক্ষ শাখা যে ভাবে আন্দোলিত হয় খা বাহাদুর সেই ভাবে দুই হাত নাড়িয়া বলিলেন, “যা হইয়াছে সে কথা শুনিলে তোমার আনন্দাশ্রুপাত হইবে । বৎসর ২৩।২৫ পূৰ্ব্বে মালবারের জঙ্গলে মৃগর করিতে যাওয়া হইয়াছিল মনে পড়ে ?—সেই ব্যাপারটা সব প্রকাশ হইয়া পড়িয়াছে । আজ সকালে চা খাইয়া খবরের কাগজ পড়িতেছি,এমন সময় ডাকে আমার নামে এক বেনামি চিঠি উপস্থিত! কোন রাসকেল যে সে চিঠি লিখিয়াছে তাহা বুঝিতে পারিলাম না, কিন্তু বড় সৰ্ব্বনেশে কথা লিখিয়াছে ; যদি দস্তুরের সহিত কর্ণেলিয়ার বিবাহের সম্বন্ধ ভাঙ্গিবার জন্য আমি তোমাকে বাধ্য না করি তাহ হইলে আমাদের দুষ্ট জনেরই বড় ভয়ঙ্কর বিপদ হইবে। হতভাগাট আরও লিখিয়াছে, সেই দুই যুগ পূৰ্ব্বের মনুষ্য-মৃগয়ার কথা তাহারা প্রমাণ করিতে পরিবে।” মেটা সাহেব সহজ স্বরে বলিলেন, “তুমি কি পত্র থান৷ লক্টর। আসিয়াছ ?” খ। বাহাদুর পকেট হইতে পত্ৰখানা বাহির করিয়া মেটা সাহেবের হস্তে প্রদান করিলেন। মেটা সাহেব পত্র খানির উপর একবার দৃষ্টিপাত করিলেন মাত্র, তাহার মনে বিন্দুমাত্র বিষয়ের সঞ্চার হইল না ; ইহার কোন কথাই তাহার অজ্ঞাত ছিল না। পত্ৰখানি মুড়িয়া টেবিলের উপর রাখিয় মেটা সাহেব খ বাহদুরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার সেই বৎসরের পুরাতন ডাইরি খানা আছে ত ।”