পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ نحوه وه হইয়াছে ; যাহার তোমাকে বেনামী চিঠি লিখিয়াছে, তোমার নূতন চাকরটা তাহাদেরই হাতের লোক ! ষড়যন্ত্ৰজাল চতুদিকে ছড়াইয়৷ পড়িয়াছে, সুতরাং তাহা হইতে উদ্ধার লাভ করিতে হইলে, আমাদের খুব সাবধান থাকা আবশ্বক ; তোমার নির্ব দ্বিতাতেই এ সকল বিপদ উপস্থিত। ডায়রীর মধ্যে এ সকল গুপ্ত কথা লিখিবার কি দরকার ছিল ?” খ। বাহাদুর রাগ কfবয় বলিলেন, “তুমি একটা মানুষকে বাঘ ভালুকের মত গুলি করিয়া মারিতে পারিলে, আর আমি খাতায় সে কথা লিখিলাম বলিয়া আমার এত অপরাধ হইল ?” পাশের কক্ষে পরদার অন্তরালে দাড়াইয়া কর্ণেলিয়া সকল কথাই সুস্পষ্ট শুনিতে পাইল ; তাহার পিতা নরহস্ত। এতদিনে সেই গুপ্ত কথা প্রকাশ হইয়া পড়িয়াছে ?—কর্ণেলিয়ার মাথা ঘুরিতে লাগিল ; দুই হস্তে কপাট ধরিয়া সে নত মস্তকে দাড়াইয়া, রহিল । অল্পক্ষণ চিত্তার পর মেটা সাহেব অত্যন্ত বিমৰ্ষভাবে বলিলেন, “আমাদের পরস্পরের উপর দোষারোপ করিয়া কোনও লাভ নাই ; যাহা হইয়া গিয়াছে, তাহাও আর ফিরিবে না । এখন যেমন করিয়া - হউক, যাহাতে জনসমাজে মুখ দেখাইবার পথ বন্ধ না হয়, তাহার উপায় করিতেই হইবে ; আর ত কোন উপায় দেখিতেছি না, দস্তুরের সহিত কর্ণেলিয়ার বিবাহের প্রস্তাব ভঙ্গ করিয়া দস্তরকে শীঘ্রই পত্র লিখিতে হইবে।” অল্পক্ষণ পরে খাঁ বাহান্থর মেটা সাহেবের নিকট বিদায় গ্রহণ করিলেন । মেটা সাহেব আবার গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হইলেন । o S X