পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ >> AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASA SAASAASSAAAAA S কিন্তু কোথাও কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিলাম না। ভাবিলাম যদি দুই চারিটী ছাত্র পাই, তাহাদিগকে গান বাজনা শিখাইয়া—কিছু উপার্জন করিব, কিন্তু অদৃষ্ট বিড়ম্বনায় সে আশাও পূর্ণ হইল না। আমি আর কোথায় কিরূপ চেষ্টা করিব,—তাহা তুমিই আমাকে বলিয়া দাও । আমার অবস্থায় পড়িলে তুমি কি করিতে বুঝিতে পারিতেছি না।” এবার এমিলি রাগ করিল, উচ্চ কণ্ঠে ঝঙ্কার দিয়া বলিল, “কি । করিতাম তাহা জানিনা, তবে একথা বলিতে পারি যদি আমি পুরুষ মানুষ হইতাম, তাহা হইলে আমার প্রেয়সী নারীকে কখনও অনাহারে রাখিতে পারিতাম না। যেমন করিয়া হউক তাহার অন্ন বস্ত্রের সংস্থান করিয়া দিতাম।” প্রেমজি বলিল, “হাতে কিছু মূলধন নাই যে, তাহ লইয়া ব্যবসায় বাণিজ্য বরিব ; কোন কলকারখানারও কাজ শিখি নাই।” এমিলি বলিল, “তবে আর কি, আমিই উপার্জনের চেষ্টা দেখি ! ঐ যে কুলী রমণীরা ইট ও সুরকীর ঝোড়া মাথায় লইয়া বাশের সিড়ী বহিয়া দোতালার ছাদে উঠিতেছে উহার দৈনিক কত উপার্জন করে ? আমি ঐ কাজ শিখিব ; অভ্যাস নাই, প্রথম প্রথম কষ্ট হইবে, কিন্তু ক্রমে তাহা সহিয়া যাইবে । তুমি তো খুব ভাল গান গাহিতে জান, আমি যদি তোমার মত গান গাহিতে পারিতাম, তাহা হইলে দ্বারে স্বারে ভিক্ষা করিয়াও দুইবেল আহারের সংস্থান করিতাম, চক্ষু লজ্জায় বসিয়া থাকিতাম না। যাহার উদরে অন্ন নাই, বস্ত্রাভাবে যাহার লজ্জা নিবারণ হয় না, তাহার আবার চক্ষু লজ্জা কি, তাহার আবার মান অপমান কি ?”