পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ >●Q জানিত ইহা আকস্মিক দুর্ঘটনা মাত্র ; কিন্তু আমি যে স্বেচ্ছাক্রমে নরহত্য করিয়াছি, এতদিন পরেও তাহ প্রমাণিত হইতে পারে।” আমিনার মুখ অত্যন্ত মলিন হইয়া গেল, ওষ্ঠ শুষ্ক হইল, বক্ষের স্পন্ন দ্রুত হইল ; তিনি টেবিলের উপর ভর দিয়া দাড়াইয়া উদ্বেগপূর্ণ দৃষ্টিতে স্বামীর মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। মেটা সাহেব, আমিনার ভাব পরিবর্তনের প্রতি লক্ষ্য না করিয়৷ বলিলেন, “এতদিন পরে আমার এ হস্তে নররক্তের কোনও চিহ্ন নাই বটে, কিন্তু এতকাল চেষ্টা করিয়াও স্মৃতির দংশন হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারিলাম না। এই ২২২৩ বৎসর ধরিয়া মিনিটে মিনিটে তিল তিল করিয়৷ আমার হৃদয় দগ্ধ হইতেছে ; কতদিন আমি স্বপ্নে সেই মৰ্ম্মাহত হতভাগ্যের অন্তিম আৰ্ত্তনাদ শুনিয়া চমকিয়া উঠিয়াছি। কিন্তু তাহাকে আমি কেন বধ করিয়াছি, তাহা তুমি জান না ; আজ আমি সে কথ। বলিব । প্রথম যৌবনে তোমাকে আমি চিরজীবনের উপাস্ত দেবী মনে করিতাম ; তোমার উপর আমার অগাধ বিশ্বাস ছিল ; কিন্তু সে আমাকে কথায় কথায় বলিয়াছিল, তুমি অসতী,তুমি কলঙ্কিনী, তুমি বিশ্বাসঘাতিনী ! এই কথা শুনিয়া আমি ক্রোধ সংবরণ করিতে পারি নাই, আমি তাহার প্রাণ বধ করিয়াছিলাম। একদিন তাহার কথা আমার মিথ্যা মনে হইয়াছিল, কিন্তু পরে আমি জানিতে পারি, এ কথা মিথ্যা নহে,সত্য ; জানিতে পারি, আমার সেই কৰ্ম্মচারী দাদাচান্‌জী— হতভাগ্য দাদাচান্‌জী ষে পল্লী-যুবতীকে প্রাণের সহিত ভালবাসিত, সে সামান্ত দরিদ্র শ্রমজীবীর কন্যা হইলেও, সতীধৰ্ম্মে সে গৌরবান্বিত ছিল, তাহার চরিত্রে আমি অন্তায় কটাক্ষপাত করিয়াছিলাম। সেই দরিদ্রা