পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Xషి. ননঞ্জনে নরক প্রেমজি দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিল, “হায়—দরিদ্রের ক্ষুধা! তুমি মানুষের হিতাহিত জ্ঞান লোপ করিতে পার, ভদ্রলোকের সম্মান নষ্ট করিতে পার।” : d এমিলি বলিল, “অন্নাভাবে যাহাকে দুই তিন দিন উপবাসী থাকিতে হয়, তাহার সৌধীন ভদ্রতা শোভা পায় না। “আমি ভদ্রলোক’ বলিয়া অহঙ্কার করিয়া বসিয়া থাকিলে ক্ষুধার হাত হইতে মুক্তি লাভের আশা নাই। সৎপথে থাকিয়া অর্থোপার্জন করিতে না পার—অসন্ধুপায় অবলম্বন কর, চুরি কর, বাটপাড়ি কর, পরের সর্বনাশ করিয়া অর্থ সঞ্চয় কর, বুঝিব একটা কিছু করিতেছ ; কিছু না করা অপেক্ষা তাহা ভাল।” এবার প্রেমজি ক্রোধ দমন করিতে পারিল না, ক্রুদ্ধস্বরে বলিল, “তুমি যে এত বক্তৃতা করিতেছ—তুমিই বা করিতেছ কি ? তুমিও তো এতদিন কোনও উপায়ে দু-পয়সা আনিতে পারিতে, কোনও দিন তাহা আনিবার চেষ্টা করিয়াছ কি ?” এমিলি মাথা তুলিয়া অবজ্ঞা ভরে বলিল, “আমাকে দিয়া কি উপাজন করিয়া লইবার মতলবে তুমি আমাকে এখানে আনিয়াছিলে ? আমাদিগকে তামাদের মত খাটিয়া খাইবার জন্য ঈশ্বর এখানে পাঠান নাই ; যাহার রূপ আছে, সে বাদীর মত খাটিতে যাইবে কেন ?” প্রেমজি উত্তেজিত স্বরে বলিল, “তুমি রূপসী হইতে পার, কিন্তু তোমার কথা গুলি রাক্ষসীর মত ।” এমিলিও সেইরূপ উত্তেজিত ভাবে উত্তর করিল, “ভুল প্রেমজি, তুমি ভুল বুবিয়াছ, ভুল বলিতেছ। আমি রাক্ষসী নহি,—জামি