পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ ᎼᏓᏬ ছেন। আপনি যদি মেটা সাহেবের কন্যা কর্ণেলিয়াকে কোনরূপে রাজি করিতে পারেন, তাহ হইলেই আপনি জীবনের যুদ্ধে জয়লাভ করিতে পারিবেন ।” পেষ্টনজির চুরুটের আগুন অনেকক্ষণ নিবিয়া গিয়াছিল, তিনি চুরুটটা দুরে নিক্ষেপ করিয়৷ তাচ্ছিল্যভরে বলিলেন, "একটা যুবতীকে বিবাহে রাজী কর। আর কি কঠিন কাজ ? অনেক দিন হইতেই আমি এ বিষয়ে অভ্যস্ত। ভাল ভাল গাড়ী ঘোড়া, পোষাক পরিচ্ছদ, হীরা মুক্ত ও জহরতের অলঙ্কার প্রভৃতি বিলাসসামগ্ৰী পাইলে সকল যুবতীই যে কোনও যুবককে বিবাহ রাজী হয় ; কর্ণেলিয়ার মত করিতে এক মিনিটও বিলম্ব হইবে না ; তবে একটা গোলের কথা এই দেখিতেছি যে, মেট পরিবারের সহিত আমার তেমন আলাপ পরিচয় নাই, ঘনিষ্ঠত করিবার পূৰ্ব্বে ভাল রকম আলাপ পরিচয়ের আবখ্যক, এজন্য কোন লোক ঠিক করিতে হইবে।” জেমসেটুজি বলিলেন, “ফজলভাই জিজিভায়ের স্ত্রী রমলাবাই সাহেবা আলাপ করিয়া দিলে চলে না কি ?” পেষ্টনজি উৎসাহের সহিত বলিলেন, “এ অতি উত্তম প্রস্তাব, আমার বোধ হয় ইনি মেটা সাহেবের আত্মীয়া !” জেমসেটুজি বলিলেন, "তা ঠিক জানি না, তবে আমি আপনাকে বলিতে পারি রমলাবাই সাহেবা আপনার পক্ষ অবলম্বন করিয়া যথাসাধ্য ওকালতী করিবেন ; কিন্তু টাকা কড়ির একটা বন্দোবস্ত শীঘ্র শেষ করা উচিত।” পেষ্টনজি বলিলেন, “সেজন্য আপনাদের কোনও অসুবিধা হইবে না,