পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉切やり নন্দনে নরক ষ্টোন কলেজের দেউড়ীর নিকট উপস্থিত হইলাম, সেখানে সন্ধানে জানিলাম আমার দুই একটি ছাত্র নিকটস্থ হোটেলে টিফিন খাইতে গিয়াছে। আমি সেই হোটেলে প্রবেশ করিয়া একটি কক্ষে অপেক্ষ করিতে লাগিলাম। অল্পক্ষণ পরে একটি যুবক সেই কক্ষে উপস্থিত হইলেন। র্তাহার মুখের দিকে চাহিয়া আমার নিজের দুঃখ কষ্ট সকলই বিক্ষিত হইলাম ; তেমন নিরাশাপুর্ণ অবসন্ন ও কাতর ভাব আমি জীবনে কাহারও মুখে দেখি নাই। যুবক হতাশ ভাবে এক থানা চেয়ারে বসিয়া পড়িয়া একজন ভূত্যের নিকট দোয়াত কলম কাগজ চাহিলেন । এই যুবকটকে দেখিয়াই আমার মনে হইয়াছিল, তাহার জীবনের সহিত আমার জীবন কোন অদৃষ্ঠ স্থত্রে আবদ্ধ হইয়া আছে। আমার মনে, কেন এভাবের উদয় হইয়ছিল, তাহ বলিতে পারি না, কিন্তু আমি সেখান হইতে উঠিতে পারিলাম না, তিনি কি করেন, বলিয়া বসিয়া দেখিতে লাগিলাম। ইতিমধ্যে দোয়াত কলম ও কাগজ আসিয়া উপস্থিত হইল। যুবকট একখানি কাগজে তাড়াতাড়ি কি লিখিলেন, কিন্তু লেখাটা বোধ হয় তাহার মনঃপুত হইল না, তিনি তাহ ছিড়িয়া ফেলিলেন ; তাহার পর আর একখানি পত্র লিখিলেন, কিন্তু সে পত্র খানিও তাহার ইচ্ছানুরূপ না হওয়ায় তাহ খণ্ডখণ্ড করিয়া ছিড়িয়া ছিন্ন খণ্ডগুলি পকেটে নিক্ষেপ করিলেন ; অনন্তর তৃতীয় বার—আর এক খানি পত্র লেখা হইল, এই পত্র খানি দুই তিন বার পড়িয়া, আর এক একখানি কাগজে তিনি তাহ নকল করিলেন, এবং শেষোক্ত পত্ৰখানি লেফাপায় পুরিয়া তাহার উপর নাম ও ঠিকানা লিখিয় তাহা একজন বেহারার জিম্বা করিয়া দিলেন ; বেহারাকে বলিলেন, ‘এই চিঠিতে ষে