পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ X bro গিয়া বল, তিনি কয়েক ঘণ্টা পূৰ্ব্বে কোন ভদ্রলোককে যে পত্র লিখিয়াছেন,একজন লোক সেই পত্রের খসড়াখানি লইয়া আসিয়াছে । আমার কথা শুনিয়া দ্বারবান আর কোনও আপত্তি না করিয়া তাহার মনিবকে সংবাদ দিতে গেল, এবং মিনিট দুই পরে ফিরিয়া আসিয়া বলিল,“সাহেব আপনার সঙ্গে দেখা করিতে রাজী হইয়াছেন।”—আমি দ্বারবানের সঙ্গে তাহার মনিবের নিকট উপস্থিত হইয়। দেখিলাম ; তাহার মুখখানি শুদ ও রক্তহীন, কিন্তু চক্ষু দুটা যেন জ্বলিতেছে ! আমি কি বলিব কোন কথা খুজিয়া পাইলাম না।” “যুবক ক্র কুঞ্চিত করিয়৷ আমাকে জিজ্ঞাস করিলেন, ‘তুমিই কি আমার পত্রের টুকরা গুলা কুড়াইয়া লইয়। আসিয়াছ ? আমি সন্মতিস্থচক মাথা নাড়িয়া পকেট হইতে পত্ৰখানি বাহির করিয়া তাহাকে দেখাইলাম।—যুবক বলিলেন, ‘তোমার অভিপ্রায় বুঝিয়াছি, উহার জন্য তুমি কত টাকা চাও? আমি তোমাকে একশত.টাকা দিতে প্রস্তুত আছি ।” “অন্যের গুপ্তকথা বিক্রয় করিয়া অর্থোপাৰ্জ্জন করিব, এরূপ দুরভিসন্ধি এপর্য্যন্ত এক দিন ও আমার মনে স্থান পায় নাই ; আমার ইচ্ছা! ছিল, বলি, “আমি আপনার এই পত্র কুড়াইয়া আনিয়াছি, ইহা অঙ্গ লোকের হস্তগত হইলে,হয়ত আপনার কোন ও অপকার হইতে পারিত. তাই ইহা আপনাকে দিতে আসিয়াছি,—আমি দরিদ্র, কিঞ্চিৎ পুরস্কার পাইলেই অনুগৃহীত হইব ।”—কিন্তু আমি একথা বলিলাম না, বলিতে পারিলাম না । যুবকের কথায় আমার মনে লোভের সঞ্চার হইয়াছিল, আমি বলিলাম, ইহার পরিবর্তে আমি দুইশত টাকা চাই।’