পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে ব্যক্তি প্রেমজির কক্ষদ্বারে আসিয়া কথা বলিল, তাহার নাম হীরাজি । হীরাজির বয়স প্রায় ৬০ বৎসর, কিন্তু তাহার আকৃতি দেখিয় তাহার বয়স পঞ্চাশের অধিক বোধ হয় না ; সুদীর্ঘ পাকা দাড়ী তাহার বক্ষঃস্থল পৰ্য্যন্ত শ্বেত চামরের ন্যায় আন্দোলিত হইতেছিল ; তাহার পরিধেয় বস্ত্র অত্যন্ত জীর্ণ; লম্বা কোটটা কত কাল পূৰ্ব্বে তাহার অঙ্গে উঠিয়াছে তাহ নির্ণয় করিতে হইলে, দৈবজ্ঞের বাড়ী যাইতে হয় ; তাহার স্থানে স্থানে ছিড়িয়া গিয়াছে, সেই সকল ছিন্ন অংশের উপর নানা রঙ্গের পটী চড়িয়াছে ! মাথার টোপাটি স্থানে স্থানে তোবড়াইয়া গিয়াছে ; চক্ষে চসমা, তাহার একখানা পরকলা ভাঙ্গণ, এবং একদিকের ডাণ্ডি নাই, একগাছি অত্যন্ত ময়লা স্থত্র সেই ডাণ্ডির প্রতিনিধিত্ব করিতেছে।—বৃদ্ধ দ্বারের উপর ঝুকিয়া পড়িয়া তীক্ষ দৃষ্টিতে যুবক তীর মুখের দিকে চাহিতে লাগিল । প্রেমজি জিজ্ঞাসা করিল, "কে তুমি ?” আগন্তক বলিল, “মানুষ, সন্দেহের কোনও কারপ্প আছে কি ?” প্রেমজি বলিল, “বিলক্ষণ আছে ; মানুষ হইলে তুমি পূৰ্ব্বে সংবাদ না দিয়া থামক ভদ্রলোকের ঘরের দরজায় আসিয়া দাড়াও, আর চুরি করিয়া অন্যের কথা শোন ?”