পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২২

>やう নন্দনে নরক =wసాuూuూ *. MASAMAMAMeAAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAAeAAA S AAA S AAAAAeSeSeeee AMAeeAeeA Ee AMAAAA -ూ*^^^* হয় বুঝিয়াছ দারিদ্র্যে মানুষের কিরূপ অধঃপতন ঘটে ; ইহা জানিয়া সুখী হইয়াছ তো ?” আগন্তুককে এখন হইতে আমরা হীরাজি বলিয়াই উল্লেখ করিব।” হীরাজি সহানুভূতি ভরে বলিল, "এত আক্ষেপের কারণ নাই, মানুষের চিরদিন সমান যায় না ; আমিও চিরদিন এমন ছিলাম না। আমার বয়স হইয়াছে, সুরুচি ও মোলায়েম শিষ্টাচারের বড় ধার ধারি না। যদিও তোমার সঙ্গে আমার পরিচয় নাই, তথাপি তোমাদের কলহ শুনিয়া আমার মনে হইল, তোমাদের যেমন দুঃসময় পড়িয়াছে, তাহাতে এ সময় তোমাদের কিছু সাহায্য করিতে পারিলে, তাহ করা উচিত।” বড় দুঃখেও প্রেমজির মুখে হাসি আসিল, তাহা অবিশ্বাসের হাসি । প্রেমজি হাসিয়া বলিল,"তুমি আমাদের সাহায্য করিবে ? অন্ধ অন্ধকে পথ দেখাইবে । তোমার যেরূপ অবস্থা দেখিতেছি, তাহাতে তোমার সৰ্ব্বস্ব দান করিলেও আমাদের একবেলা আহারের সংস্থান হইবে না । তোমার কি আমাদের সাহায্য করিবার সামর্থ্য আছে ?” হীরাজি—“অসম্ভব কি ?” প্রেমজি—“তোমাকে দেখিয়া ত অসম্ভব বলিয়াই মনে হয় ।” হীরাজ গম্ভীর স্বরে বলিল, “তোমরা বড় কষ্টে পড়িয়াছ বটে, কিন্তু নিরাশ হইবার কারণ নাই । পৃথিবীতে অর্থের অভাব নাই ; যাহার চক্ষু আছে সে দুই হস্তে অর্থ কুড়াইয়া লইয়া নিজের কাজে লাগাইতে পারে । তোমার চক্ষু নাই, তাই দিবানিশি চেষ্টা করিয়াও অর্থের সন্ধান পাইতেছ না, কেবল ঘরে আসিয়া অনর্থ বাধাইতেছ !”