পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২২ নন্দনে নরক সাহেব সে দিকে না তাকাইয়া দুই হাত দিয়া নওরোজিকে জড়াইয়৷ ধরিলেন, সহাস্তে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এমন অসময়ে আসিয়াছ যে ! খবর কি ?” ” নওরোজি অবনত দৃষ্টিতে বলিলেন, “কৰ্ণেলিয়ার বড় অসুখ ।” নওরোজি কিরূপে কর্ণেলিয়ার পীড়ার সংবাদ জানিতে পারিয়াছিলেন, তাহা দস্তুর সাহেবের গোচর করিলেন । দস্তুর সাহেব ক্ষণকাল চিস্তা করিয়া বলিলেন, “এখন আমাকে কি করিতে হইবে বল ?” নওরোজি বলিলেন, “আপনি নিজে একবার কর্ণেলিয়াকে দেখিয়া ন। আসিলে রোগ কিরূপ, তাহ কিছুই বুঝিতে পারা যাইতেছে না।” দস্তুর সাহেব বলিলেন, "কাজটা আমার পক্ষে কিরূপ সঙ্গত হইবে তাহা একবার ভাবিয়া দেখ। কাল আমি বিবাহের সম্বন্ধ ভঙ্গ করিয়৷ মেটা সাহেবকে যে পত্র লিখিয়াছি—আমার পক্ষে তাহ শিষ্টাচারসঙ্গত হয় নাই ; তাহার পর চব্বিশ ঘণ্টা যাইতে না যাইতে র্তাহার কন্য। কেমন আছেন, তাহ দেখিতে যাওয়া বা জানিবার জন্য পত্র লেখা ভয়ঙ্কর ধৃষ্টতা ! অনেকেই ভাবিতে পারে আমার রূঢ় ব্যবহারে মনোকষ্ট পাইয়াই কর্ণেলিয়া পীড়িত হইয়াছে, এ অবস্থায় আমার অপরাধ কাহারও চক্ষে মার্জনীয় মনে হইবে না।” নওরোজি ক্ষুন্নভাবে বলিলেন, “আপনার এ কথা ঠিক।” দস্তুর সাহেব বলিলেন, "কিন্তু তুমি হতাশ হইও না, আমার একটি দুর সম্পৰ্কীয়া আত্মীয়া আছেন, তাহার নাম রমলাবাই জিঞ্জিবাই, তাহার স্বামী ফজলভাই জিজিভাই মেট সাহেবের আত্মীয় ; এই