পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশ পরিচ্ছেদ ՋՋՊ নওরোজি আর কোনও আপত্তি করিলেন না, দস্তুর সাহেবের বাড়ীতে উপস্থিত হইয়া তিনি র্তাহার লাইব্রেরীতে গিয়া বসিলেন। দস্তুর সাহেব তাহার সহিত নানা কথার আলোচনা করিতে লাগিলেন বটে, কিন্তু গল্প তেমন জমিল না। দশটার মধ্যেই উভয়ে আহার শেষ করিলেন । সুদৃশু ‘ম্যান্টলুপিসে’র উপর ঘড়িতে ঠং ঠং করিয়া দশটা বাজিয়া গেল ; তাহার ঠিক দুই মিনিট পরে ঝটিকার ন্যায় আবৰ্ত্ত তুলিয়া, এসেন্সের সৌরভে ও অলঙ্কারের ঝঙ্কারে সেই কক্ষটিকে চঞ্চল করিয়া রমল ক্ষিপ্র পদে দস্তুর সাহেবের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। দস্তুর সাহেব অবিবাহিত যুবক, র্তাহার গৃহ রমণীসংস্পর্শ শূন্ত ; এত রাত্রে রমলা একাকিনী দস্তুর সাহেবের গৃহকক্ষে প্রবেশ করিলেন, ইহা যুক্তিসঙ্গত নহে ; কিন্তু এসকল কার্য্যে রমলার সঙ্কোচ ছিল না। রমলা দস্তুর সাহেবের সম্মুখে আসিয়া বসিলেন, বলিলেন, “আমি তোমাকে চিঠি লিখিব বলিয়াছিলাম, কিন্তু দায়ে পড়িয়া নিজেই আসিলাম ; তুমি বড়ই অন্যায় কাজ করিয়াছ ; যে কাজ তুমি করিয়াছ, তাহাতে তোমাকে আর ভদ্রলোক বলিতে ইচ্ছা হয় না ।” দস্তুর সাহেব অনুনয়ের সুরে বলিলেন, “রমলা থাম।” রমলা চটিয়া বলিছলন, “আর তুমি মুখ নাড়িয়া কথা কহিও না ; তোমার পেটে-পেটে এত নষ্টামি তাহ পূৰ্ব্বে কে জানিত ? আমি ভাবিলাম, কর্ণেলিয়াকে নিজে দেখিতে না গিয়া আমাকে যাইতে বলে কেন ? তুমি জান, কর্ণেলিয়ার এই পীড়ার জন্য যদি কেহ দায়ী হয়, তাহা হইলে, সে তুমি ? দেখিতেছি তুমি ভয়ঙ্কর পাপিষ্ঠ !”