পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՀԵ নন্দনে নরক جمعیت این استاند দস্তুর সাহেব সেই কক্ষের অন্য প্রান্তে উপবিষ্ট নওরোজির দিকে চাহিয়া সহাস্তে বলিলেন, “কেমন ? আমি তোমাকে বলিয়াছি পীড়া, কঠিন নয়।” সেই কক্ষের অন্য দিকে যে আর একজন লোক বসিয়া আছে, রমলা তাহ দেখেন নাই ; দস্তুর সাহেবের কথায় তাহার চমক ভাঙ্গিল, তিনি বলিলেন, “কি সৰ্ব্বনাশ ! আমি ভাবিতেছিলাম তুমি এখানে একাকী আছ ।” দস্তুর সাহেব বলিলেন, “তাহাতে কোনও ক্ষতি হয় নাই, ইনি আমার একটি নুতন বন্ধু ; নওরোজির সহিত তোমার পরিচয় করাইয়া দিই। এখন ইহঁার পরিচয় দিবার মত কিছু নাই বটে, কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই আমার এই বন্ধুর খ্যাতি সমগ্র ভারতবর্ষে ছড়াইয়া পড়িবে।” নওরোজি মাথা নোয়াইয়া রমলাকে অভিবাদন করিলেন। রমলা সবিস্ময়ে নওরোজির দিকে চাহিয়া রহিলেন ; এমন দরিদ্র নগণ্য যুবককে যে, দস্তুর সাহেব বন্ধু বলিয়া তাহার নিকট পরিচিত করিতে লজ্জিত হইলেন না, ইহা রমলার নিকট বড়ই অদ্ভুত মনে হইল। দস্তুর সাহেব বলিলেন, “তাহা হইলে কর্ণেলিয়া সত্যই পীড়িত হইয়াছেন ; তুমি তাহাকে কেমন দেখিলে ?” রমলা বলিলেন, “কেমন আর দেখিব ? এসময় যদি তুমি একবার তাহাকে দেখিতে, তাহা হইলে তোমার পাষাণহৃদয়ও বিদীর্ণ হইত ; তোহার প্রতি তোমার বৰ্ব্বরের মত আচরণের কথা স্মরণ করিয়া তুমি নিশ্চয়ই অনুতপ্ত হইতে । কর্ণেলিয়াকে দেখিয়া আর চিনিবার যে