পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশতি পরিচ্ছেদ ২৩৭ হুজুরের মেজাজ ভয়ঙ্কর গরম ! কেহ সম্মুখে যাইলে তাহাকে না কামড়াইয়া ছাড়িতেছেন না।” নওরোজি বলিলেন,"কিন্তু আমার আজ দেখা করিবার কথা আছে।” দ্বারবান বলিল, “কথা থাকে যান, শেষে তাড়া খাইয়া পলাইবার পথ পাইবেন না।” বৃদ্ধ কাম৷ সাহেব নওরোজিকে স্নেহ করিতেন, সেই ভরসায় তিনি তাহার বসিবার কক্ষের সম্মুখে গিয়া উপস্থিত হইলেন। নওরোজি দ্বারে মৃদু করাঘাত করিবামাত্র ভিতর হইতে মোট গলায় কাম। সাহেব হুঙ্কার করিয়া বলিলেন, "কে আবার আমাকে বিরক্ত করিতে আসিয়াছিস্ ?” নওরোজি দ্বার ঠেলিয়া বৃদ্ধ কামাসাহেবের সম্মুখে আসিলেন, বৃদ্ধকে অভিবাদন করিয়া বলিলেন, “মহাশয়, আমি আপনার আদেশামুসারেই আপনার সহিত সাক্ষাতে আসিয়াছি।” কাম সাহেব নওরোজিকে দেখিয়া একটু ঠাণ্ড হইয়া বলিলেন, “তুমি আসিয়াছ বেশ করিয়াছ, ঐ চেয়ার খানায় বস ; তুমি বড় ভাল ছেলে, তোমাকে দেখিলেই আমার আনন্দ হয় । তোমার মত সুশীল, শান্ত একটি ছেলে থাকিলে আমি কত সুখী হইতাম । তোমার যদি কোন সাহায্যের আবশ্যক হয়, তবে আমাকে বলিও ; আমি তোমাকে সকল রকম সাহায্য করিতে প্রস্তুত আছি।” নওরোজি বলিলেন, “আমার প্রতি মহাশয়ের বড়ই অনুগ্রহ, কিন্তু আপাততঃ আমার কোনরূপ সাহায্যের আবখ্যক নাই ।” কাম সাহেব বলিলেন, "তোমার কথা ভাবিয়া সময়ে সময়ে আমার