পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশতি পরিচ্ছেদ ష్సిలిపా AAAA ASASASAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSASAS SS SS SS S SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS অধঃপাতে গিয়াছে ; ক্রমাগত রাত্রি জাগরণে, মদ্যপানে ও কুক্রিয়ায় তাহার উদ্যম, উৎসাহ, ফুৰ্ত্তি—সমস্ত নষ্ট হইয়া গিয়াছে। এখন দেখিতেছি, আমিই আদর দিয়া তাহার মাথা খাইয়াছি। অতি অল্প বয়সেই তাহার মায়ের মৃত্যু হয়, ঐ একটি পুত্র ভিন্ন তখন সংসারে আমার আর কোনও বন্ধন ছিল না, তাই আমার কাছে অত্যন্ত আদর পাইয়া সে একবারে বধিয়া গেল । এখন আর তাহাকে আমি শাসন করিতে পারিতেছি না। আমি তাহাকে মাসে হাজার টাকা পকেট খরচা দিই, তদ্ভিন্ন তাহার মায়েরও অনেক টাকা তাহার হাতে পড়িয়াছিল, কিন্তু হতভাগা সব টাকা উড়াইয়া দিয়াছে ! জানি না সংসারে আর কত লোক এই প্রকার হতভাগ্য সস্তানের হাতে পড়িয়া মৰ্ম্মাস্তিক ক্লষ্ট ভোগ করিতেছে।” বৃদ্ধ দরাবজির কথা শেষ হইতে না হইতে র্তাহার পুল্ল জাহাঙ্গীরজি কাম| সেই কক্ষে উপস্থিত হইল ; অন্তরাল হইতে সে পিতার কোন কোন কথা শুনিতে পাইয়াছিল ; সে মুখের কুৎসিত ভঙ্গী করিয়া বলিল, “খুব যে আমার নিন্দ চলিতেছে ! এত পরনিন্দ ভাল নয, পরকালে নরকে বাস করিতে হইবে । নিজে বড় গুণবান ব্যক্তি কি না, তা আবার পরের দোষ ধরা হইতেছে।” দরাবজি পুত্রের কথায় কর্ণপাত না করিয়া বলিলেন, "এই দেখ আমার কুলপ্রদীপ পুত্র উহার এখন ইচ্ছা কি জান ? আমি কবে মরিব, হতভাগাটা তাহারই সন্ধান করিয়া বেড়াইতেছে।” জাহাঙ্গীরজি চীৎকার করিয়া বলিল, “না, না, মিথ্যা কথা।” বৃদ্ধ সক্রোধে বলিলেন, “আমাকে মিথ্যাবাদী বলিতে তোর লজ্জা