পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশতি পরিচ্ছেদ 8》 পায়া ধরিয়া শূন্তে তুলিলেন, এবং পুত্রের মন্তক লক্ষ্য করিয়া তাহ নিক্ষেপে উদ্যত হইলেন ; কিন্তু নওরোজি মধ্যপথে চেয়ারখানি টানিয়া লইয়। তাহ একটু দূরে রাখিয় দিলেন। জাহাঙ্গীরজি পিতার ক্রোধে কিছুমাত্র ভীত না হইয়া বলিল, "দেখ দেখ, বুড়োর কাণ্ডজ্ঞান লোপ পাইয়াছে ; আমাকে খুন করিতে চায় ! নিৰ্ব্বংশ হইবার ভয় নাই ?” 1. নওরোজি এক লম্ফে উঠিয়া জাহাঙ্গীরের মুখ চাপিয়া ধরিলেন, বলিলেন, “আপনি চুপ করুন, আর একটা কথাও বলিবেন না।” কিন্তু জাহাঙ্গীরজি ক্রোধে আত্মবিশ্বত হইয়াছিল, নওরোজিকে বলিল, “তুমি সরিয়া যাও, বুড়োর কত ক্ষমতা একবার দেখি !" বৃদ্ধ দরাবজি বলিতে লাগিলেন, “স্বীকার করি আমার কাছে কিছু নগদ টাকা আছে, কিন্তু এ টাকাগুলা উহার হাতে পড়িলে হতভাগাটা তিন দিনের মধ্যেই তাহা উড়াইয়া দিবে। হতভাগার কাণ্ডজ্ঞান একবারে লোপ না পাইলে কি ও রাস্ত হইতে একটা চুড়ীকে কুড়াইয়া আনিয়া তাহার মনোরঞ্জনের জন্য হাজার হাজার টাকা অপব্যয় করে ? 'কোনও সন্ধান্ত লোকের সন্তান কি একটা বেঙ্গকে লইয়। এ ভাবে উন্মত্ত হইতে পারে?” জাহাঙ্গীরজি সক্রোধে বলিল,"কি! তুমি গুলবাই সাহেবার অপমান করিতে সাহস কর । তাছার মত স্বশিক্ষিতা সুন্দরী মহিলাকে তুমি ছু ড্ৰী বলিয়া অপমান করিলে ? তাহাও না হয় সহ করিলাম, কিন্তু তাহাকে তোমার বেশু বলিতে লজ্জা হইল না ? বুড়া হইয়া তোমার হিতাহিত জগল একৰীরে লোপ পাইয়াছে।” ৯৬