পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ २७6 আমার মনিবকে দিতে চাই ।”—তখন পেষ্টনজি বাধ্য হইয়া রসীদ দিবে ।” দস্তুর সাহেব বলিলেন, “এ প্রস্তাব মন্দ নয়, তাহাই করিও ।" । এতক্ষণে রমলার উদ্বেগ ও আশঙ্কা দূর হইল, আবার তাহার মুখে হাসি ফুটিল ; তিনি বলিলেন, "পেষ্টনজিকে লইয়া আমি উত্তম বাদর নাচাইতে পারিব ; সম্ভবতঃ সে আমার কাছে তাহার অনেক মনের কথা খুলিয়া বলিবে, তাহা তোমাদের জানিতে বিলম্ব হইবে না ; কে কাহাকে মুঠার মধ্যে করিতে পারে দেখা যাইবে । আমি বড় পরিশ্রান্ত হইয়াছি, এখন উঠিলাম।” রমলা বাই সাহেবা প্রস্থান করিলেন । নওরোজি দস্তুর সাহেবকে বলিলেন, "পেষ্টনজির গতিবিধির প্রতি লক্ষ্য করাই এখন আমাদের প্রধান কাজ । দেখিতেছি সে রমলা সাহেবাকে হস্তগত করিবার জন্য এক খেলা থেলিয়াছে ! কোন কৌশলে কিরূপ পৈশাচিকতার সাহায্যে সে মেট সাহেব ও তাহার স্ত্রীকে হস্তগত করিয়াছে, তাহাই এখন আবিষ্কার করিতে হইবে । এই রহস্তভেদের উপর আমাদের সুখ দুঃখ নির্ভর করিতেছে। কিন্তু এই গভীর রহস্তটি কি ?” ।