পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ ২৭৫ বিস্মিত হইবে, তাহার প্রণয়ী অত্যন্ত দরিদ্র সাধারণ লোক, একজন সামান্ত চিত্রকর মাত্র । এই হতভাগাই আমাদের পথের প্রধান কণ্টক হইয়া উঠিয়াছে। এই যুবককে আমি দেখিয়াছি, তাহার যে উৎসাহের, যে ধৈর্য্য ও পরিশ্রমের পরিচয় পাইয়াছি, লক্ষ জনের মধ্যে এক জনেরও তাহ দেখা যায় না।” ডাক্তার সবিস্ময়ে বলিলেন, "তুমি বলিতেছ কি ? বন্ধুহীন অর্থহীন সহায় সম্পদহীন একটা ছোকরা—” হীরাজি ডাক্তারকে কথা শেষ করিতে না দিয়া বলিল, “না, সে অসহায় নহে, অধিক না হউক, অস্ততঃ একজনও তাহার ধনবান বন্ধু আছে ; সেই ব্যক্তি এ সহরে সর্বজন পরিচিত ; তুমিও বোধ হয় র্তাহাকে চেন, র্তাহার নাম দীনসা কাওয়াসজি দস্তুর ।” ডাক্তার লালুভায়ের মুখ হঠাৎ বিবর্ণ হইয়া গেল, তিনি হতবুদ্ধির মত চাহিয়া রহিলেন, কোনও কথা বলিতে পারিলেন না। হীরাজি বলিতে লাগিল, “এই প্রকার বিভিন্ন অবস্থার দুইজন লোকের মধ্যে যে কিরূপে বন্ধুত্ব স্থাপিত হইল, তাহা আমার কল্পনা করিবার শক্তি নাই। এক যুবতীর দুইজন প্রণয়ী প্রতিদ্বন্দ্বীতা-ক্ষেত্রে দাড়াইয়া পরস্পরের বুকে ছুরি না তুলিয়া এমন অকপট বন্ধুতা-স্থত্রে আবদ্ধ হয়, ইহা কখন দেখি নাই, কখন শুনিও নাই। আমার বিশ্বাস, পেষ্টনজি সাপুরজির সহিত যাহাতে কর্ণেলিয়ার বিবাহ না হয়, সেই জন্ত ইহারা উভয়ে মিলিয়া চেষ্টা করিতেছে।” ডাক্তার বলিলেন, “তুমি অতি অসম্ভব কথা বলিতেছ।” হীরাজি বলিল, “অসম্ভব কিনা বলিতে পারি না, তবে অবিশ্বাস্ত