পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳ Տ) নন্দনে নরক নহে ; কাল রাত্রেও ইহাদের ষড়যন্ত্র হইয়াছিল । পেষ্টনজির আশ। পূর্ণ হইবে কি না, বুঝিতে পারিতেছি না।” ডাক্তার জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিন্তু সাপুরজি কিরূপে ভয়ঙ্কর অস্ত্র লইয়া এই যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, সে কথা কি তাহারা জানে ?” হীরাজি শূন্যে চাহিয়া বলিল, “সেনাপতির যুদ্ধারম্ভের পূৰ্ব্বে যুদ্ধ জয়ের জন্য সকল প্রকার সতর্কতাই অবলম্বন করেন, র্তাহার অধীনস্থ সৈন্য সামন্তেরাও হয়ত বিশ্বাসী ; কিন্তু তাহাদের নির্বুদ্ধিতার দোষে যুদ্ধে পরাজয় হওয়া বিচিত্র নহে। পেষ্টনজি সাপুরজি ও লালুভাই মতিওয়ালাকে শিখাইয় রাখা গেল, যেমন করিয়া হউক ফজলভাই জিজিভাই সাহেবের স্ত্রী রমলাবাই সাহেবাকে হস্তগত করা আবশ্যক ; যে কোনও কৌশলে র্তাহাকে ফঁাদে ফেলিতে হইবে ; ফাদও প্রস্তুত হইল, কিন্তু উহার উভয়েই এমন নিৰ্ব্বেtধ যে, শিকার ফঁাদে ফেলিয়া ও তাহাকে হাবাইল ! এই সকল নিৰ্ব্বোধের বিশ্বাস, তাহারা বড় বুদ্ধিমান । বোকা পেষ্টনজি প্রথমেই র্তাহাকে তাহার বিবাহের ঘটকালি কবিবার জন্য অনুরোধ করিল। রমল। অসাধারণ বুদ্ধিমতী, তিনি সহজেই বুঝিলেন, ভিতরে ভিতরে একটা কিছু ষড়যন্ত্র চলিতেছে ; তিনি তৎক্ষণাৎ দস্তুর সাহেবের নিকট উপস্থিত হইয়। তাহার পরামর্শ ও সহায়তা চাহিয়াছেন।” • এই সকল কথা শুনিয়া ডাক্তারের প্রায় হৃৎকম্প উপস্থিত হইল, তিনি অস্ফুটম্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ সকল কথা তোমাকে কে বলিল ?” হীরাজি বলিল, “কেহই বলে নাই ; সন্ধানে জানিতে পারি