পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ S_QS পরিত্যাগ করিব না। এখনও আমার সেই প্রতিজ্ঞা হইতে বিচলিত হইবার ইচ্ছা নাই। কিন্তু আমি দেখিতেছি, আমরা অন্ধ ভাবে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিতে চুটিয়াছি; ইহার ফল কি হইবে জানি না, কিন্তু আমার মনে হইতেছে, একদিন হয়ত আত্মহত্যা করিয়া কলঙ্ক ও অপমানের হস্ত হইতে নিষ্কৃতি লাভ করিতে হইবে।” হীরাজি উত্তেজিত ভাবে বলিল, “যদি কাপুরুষের মত আত্মহত্য করিয়াই বাচিতে চাও, তাহাতে আমাদের আপত্তি নাই ; কিন্তু যতদিন পর্য্যন্ত তোমার জীবন বিপন্ন না হয়, ততদিন চুপ করিয়া বসিয়া দেখ, আমরা কি করিতে পারি। বিপদ ত আমাদের মত লোকের চিরসহায় ; সুতরাং তাহাকেই আমাদের আত্মরক্ষার অস্ত্রস্বরূপ গ্রহণ করিতে হইবে। তুমি দেখিতেছ না, আমাদের কার্য্যসিদ্ধির প্রধান অন্তরায় চিত্রকর নওরোজি ; তাহাকে সরাইতে পারিলে, আমাদের সকল কাজ সহজ হইয়া আসিবে ।” ডাক্তার শিহরিয়া উঠিলেন ; তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কি ভাবে তাহাকে সরাইবার কথা বলিতেছ?” হীরাজি বলিল, “অত্যন্ত সরল ভাবে ; অন্যের হস্তে নিহত হওয়৷ অপেক্ষা স্বহস্তে তাহাকে হত্যা করা ভাল ।" নরহত্যার প্রস্তাবে ডাক্তার অত্যন্ত বিষণ্ণ ও ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন, জড়িত স্বরে বলিলেন, “তাহার পর যদি আমরা ধরা পড়ি ?” হীরাজি বলিল, “কি নিৰ্ব্বোধের মত কথা বলিতেছ ? কে আমাদের ধরিবে ? বিচারালয়ে প্রকৃত অপরাধের উদ্দেশ্য লইয়া বিচার করা