পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵՏ) নন্দনে নরক কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নাই ; তাহার পক্ষে সতর্কতা অনাবশু্যক। অনেক চিস্তার পর আমি অনুমান করিলাম, কেহ কাহারও কাছে কিছু প্রার্থন করিতেছে, দ্বিতীয় ব্যক্তি তাহাতে অসন্মত । কিন্তু প্রশ্নোত্তর একই কাগজে কেন ? হয়ত উভয়ে একই গৃহে বাস করে। যদি ইহা স্বামীস্ত্রীর পত্র হয়, তাহা হইলে স্ত্রী অত্যন্ত ব্যগ্রভাবে কোনও বিষয়ের জন্য অনুনয় করিয়া এই সাঙ্কেতিক পত্র পরিচারকের হাত দিয়া তাহার স্বামীর কাছে পাঠাইয়াছিল। স্বামী খুব রাগ করিয়া নীচের ছত্রটি লিখিয়া তাহ সেই ভূত্য মারফৎ স্ত্রীর নিকট ফেরত পাঠাইয়াছে – সাঙ্কেতিক কথাটি পাঠের জন্য আট দশ ঘণ্টা কাল চেষ্টা করিয়া হঠাৎ আমার মনে একট। ফন্দি আসিয়া জুটিল, আমি নীচের দিক হইতে পত্ৰখানি উণ্টাভাবে পড়িবার চেষ্টা করিলাম,—হঠাৎ আমি আলোক দেখিতে পাইলাম, আমি পড়িলাম,— "আমার কোন দোষ নাই + দয়া কর + বাছাকে ফিরায়ে দাও + আমার প্রাণ বাচাও।” এবার লালুভাই জেমসেটুজির হাত হইতে পত্ৰখানি টানিয়া লইলেন ; পত্ৰখানি পাঠ করিতে এবার আর তাহাদের কিছুমাত্র কষ্ট হইল না। জেমসেটজি বিলিলেন, “পত্র ত পড়িলাম, কিন্তু এ পত্র কাহার ? অনুসন্ধানে জানিতে পারিলাম কোলাবা অঞ্চলের একটা ক্লাবের চাকরের নিকট হইতে যে সকল কাগজ ক্রয় করা হয়, তাহারই মধ্যে এখানি ছিল। দেখিতেছি কাগজ খানি চিঠির কাগজ ও খুব পুরু ; নিতান্ত সাধারণ লোক চিঠিপত্র লিখিতে এরকম মূল্যবান কাগজ ব্যবহার করে