পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বিংশ পরিচ্ছেদ ՋԵՊ ন। । আমি পত্ৰখানি আলোকে ধরিয়া ভাল করিয়া পরীক্ষা করিতে লাগিলাম, তাহার এক কোণে জলের জড়ানো অক্ষরে লেখা আছে, cB. 5. আমি অনেক অনুসন্ধানে জানিতে পারিলাম—ইহা এজরা সাহেবেয় চিঠির কাগজের বিশেষত্ব জ্ঞাপক চিহ্ন,—র্তাহার মনোগ্ৰাম । “দুরে একটু আশার আলোক দেখিলাম বটে, কিন্তু তাহার উপর নির্ভর করিয়া কোন কাজ করা যায় না, অন্য লোক হইলে চেষ্টা ছাড়িয়া দিত, কিন্তু আমি যাহা ধরি তাহা ছাড়ি না, প্রাণপণে তাহ। ধরিয়া পড়িয়া থাকি। আমি ক্রমাগত ছয়মাস কাল অনুসন্ধানের পর জানিতে পারিলাম, বায়রামজি এজরার স্ত্রী এজরা সাহেবকে এই পত্র লিখিয়াছিলেন –কিন্তু এরূপ পত্র লিখিবার অর্থ কি ? ইহার আগুরালে কি গভীর রহস্ত প্রচ্ছন্ন আছে ? এই চিন্তায় আমি আহার নিদ্র পর্য্যস্ত ত্যাগ করিলাম ;—দিবারাত্রি এই রহস্য ভেদের জন্য চেষ্টা করিতে লাগিলাম। চেষ্টায় মানুষ অসাধ্য সাধন করিতে পারে,—আন্তরিক চেষ্টা কখন নিস্ফল হয় না –বিস্তর চেষ্টার পর গত কল্য আমি সকল রহস্য ভেদে সমর্থ হইয়াছি।” ডাক্তার জিজ্ঞাসা করিলেন, "যমুনাকে হস্তগত করিয়াছ ?” “ই। —তাহার উপর আমার বিশেষ লক্ষ্য ছিল ।” ডাক্তার জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে সকল কথ। বলিয়াছে ?” জেমসেটজি বলিলেন, “নিশ্চয়ই ; কত কষ্টে যে তাহার মনের কথ। বাহির করিয়াছি, তা আমিই জানি । সে সব কাহিনী বলিতে গেলে একখানি প্রকাণ্ড উপন্যাস হয় —যমুনা যে গুপ্ত রহস্ত কুড়ি বৎসর কাল