পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ షి సాలి AAAAS SAAAA AAAA AAAAee SAAAAA AAAAAS SSAAAAS HSAASAAAS গৃহে যাইতেন না। এ সম্বন্ধে তাহার একটি অদ্ভুত ধারণা ছিল ; তিনি বলিতেন, "যে ব্যক্তি নিমন্ত্রণ করিয়া অন্তকে খাওয়াইতে পারে না, অন্তের গৃহে তাহার থাইতে যাওয়া অন্যায়।’ এজরা সাহেবের পূর্ব পুরুষের অত্যন্ত ধনবান ছিলেন ; পাঁচ ছয় পুরুষ পূৰ্ব্বেও থানা জেলার মধ্যে ইহার। সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় তালুকদার ছিলেন ; তখন ইহাদের বার্ষিক আয় দশ লক্ষ টাকার কম ছিল না । কিন্তু বোম্বাই প্রদেশে ইংরাজের অধিকার বিস্তুত হইবার পূৰ্ব্বে, যখন সমগ্র দক্ষিণাপথ মহারাষ্ট্রের চরণতলে লুষ্ঠিত হইতেছিল, সেই সময় বগী দক্ষ্যদিগের পুনঃ পুনঃ লুণ্ঠনে এই পরিবার অর্থ-গৌরবে বঞ্চিত ও হতশ্ৰী হইয়া পড়ে। পূর্বে ইহাদের প্রচুর অর্থ সঞ্চিত ছিল, তাহ সমস্তই দমু্যদলের হস্তগত হয় । খরসেটুজি এজরা যখন বয়ঃপ্রাপ্ত হইলেন, তখন তিনি দেখিলেন, গৃহে অধিক অর্থ নাই, সম্পত্তির অবস্থা গজভুক্ত কপিখবৎ, এবং পূৰ্ব্বের প্রভাব প্রতিপত্তি সমস্তই বিলুপ্ত হইয়াছে। তিনি উদ্যোগী পুরুষ সিংহ ছিলেন ; প্রতিজ্ঞ করিলেন, প্রাণপণে তিনি পৈতৃক অবস্থার উন্নতি সালন করিবেন, আবার যাহাতে এজরা-বংশ অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারী হইতে পারে, সেই চেষ্টায় জীবন উৎসর্গ করিবেন, বংশের নাম উজ্জ্বল করিবেন । 驗 এইরূপ প্রতিজ্ঞা করিয়া খরসেটুজি এজরা নবীন যৌবনে, একুশ বাইশ বৎসর মাত্র বয়সে একাকী সংসার সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইলেন, এবং থানার কাৰ্য্যক্ষেত্র প্রশস্ত নহে ৰুবিয়া তিনি বোম্বাই নগরে উপস্থিত হইলেন। সে সময়েও বোম্বাইয়ে লক্ষপতি পারসী সদাগরগণের অভাব ছিল না ।